নতুন অর্থবছরের জন্য পেশ করা বাজেট নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেন, বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার চ্যালেঞ্জিং এই বাজেটের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি কমানো মোটেই সহজ হবে না।
শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত উন্নয়ন সমন্বয়ের কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি। গত মে মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি। সার্বিক মূল্যস্ফীতিও প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি। এমন পরিস্থিতিতে সাড়ে ৩ শতাংশের মতো মূল্যস্ফীতি কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা সহজ হবে না।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে বাজেট ঘাটতি ও ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণের পরিমাণ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। বাড়তি ব্যয়ের চাপ না নিলে, বাজেট ঘাটতি আরও কম হতো।
তিনি বলেন, এই বাজেট প্রাথমিকভাবে দেখে বাস্তবতার প্রতি অনেকটা সংবেদনশীলই মনে হচ্ছে। একই সঙ্গে এই বাজেটটিতে কিছু ক্ষেত্রে আরেকটু কল্যাণমুখী হওয়ার সুযোগ ছিল। প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৬.৭৫ শতাংশ, যা উচ্চাভিলাষী প্রবৃদ্ধির হারের লক্ষ্যমাত্রায় বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
সাবেক গভর্নর বলেন, বাজেটে রাজস্ব বোর্ডকে চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে, তার মাত্র ৩৭ শতাংশের মতো আসবে প্রত্যক্ষ কর থেকে। উচ্চাভিলাষী রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পরোক্ষ করের ওপর নির্ভরতা কমানোর পথে বাধা। রাজস্ব বোর্ড তাদের লক্ষ্যমাত্রার ৬২ শতাংশের জন্যই নির্ভর করবে পরোক্ষ করের ওপর। এ ক্ষেত্রে গতানুগতিকতা থেকে বেরোনো সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন