কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর খামারবাড়িতে কেআইবি চত্বরে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফলমেলা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে মেলার উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। এর আগে সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে কেআইবি চত্বর পর্যন্ত ফল মেলা উপলক্ষে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
‘ফলে পুষ্টি অর্থ বেশ-স্মার্ট কৃষির বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এ মেলা শেষ হবে আগামী ৮ জুন শনিবার। এবারের ফলমেলায় ৮টি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ৫৫ টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। মোট ৬৩টি স্টলে বিভিন্ন ধরনের ফল ও ফলচাষ প্রযুক্তি প্রদর্শিত হচ্ছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত। আগত দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারছেন এবং রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল কিনতেও পারছেন।
উদ্বোধন শেষে কেআইবি মিলনায়তনে ফলের ওপর আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্য রপ্তানিতে যে সকল প্রতিবন্ধকতা আছে তা দূর করা হবে। এলক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করে অতিদ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বিশেষ করে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে কার্গো ভাড়া কমাতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের কারণে খুব কম সময়ে সারা বাংলাদেশের ধানকাটা সম্ভব হয়েছে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ। কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. মো. আমজাদ হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর মো. কামরুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন