দেশে সবচেয়ে বেশি দরিদ্র মানুষের বসবাস এখন বরিশাল বিভাগে। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
অর্থনৈতিক সমীক্ষার উচ্চ দারিদ্র্য রেখা অনুযায়ী, ২০১৬ সালে বরিশালে মোট উচ্চ দরিদ্র লোকের হার ছিল ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ। যেখানে ২০২২ সালে এসে মোট দরিদ্রতার হার দাঁড়ায় ২৬ দশমিক ৯ শতাংশ। বিভাগটিতে ২০১৬ সালে পল্লী ও শহর এলাকায় দারিদ্র্য ছিল যথাক্রমে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ৩০ দশমিক ৪ শতাংশ। সেখানে ২০২২ সালে এসে পল্লী ও শহর এলাকায় দরিদ্রতার হার কমে যথাক্রমে ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ২১ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছে।
অতি দারিদ্র্য রেখা অনুযায়ী, বরিশাল বিভাগে অতি দারিদ্র্য মানুষের হারও বেশি অন্যান্য বিভাগের তুলনায়। ২০১৬ সালে বরিশালে মোট অতি দারিদ্র্যের হার ছিল ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ। সেখানে ২০২২ সালে এসে মোট অতি দারিদ্র্যের হার কমে হয়েছে ১১ দশমিক ৮ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে বিভাগটিতে অতি দারিদ্র্যের হার কমলেও অন্যান্য বিভাগের চেয়ে বর্তমানে সেখানে দারিদ্র্যের হার বেশি।
উচ্চ দারিদ্র্য রেখা অনুযায়ী ঢাকা, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে দারিদ্র্যের হার ২০১৬ সাল অপেক্ষা বৃদ্ধি পেলেও নিম্ন দারিদ্র্য রেখা অনুযায়ী ২০১৬ সালের তুলনায় ২০২২ সালে দেশের সকল বিভাগে মোট দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছে।
অর্থনৈতিক সমীক্ষার তথ্য থেকে জানা যায়, উচ্চ দারিদ্র্য রেখা ও নিম্ন দারিদ্র্য রেখা উভয় ক্ষেত্রেই বরিশাল বিভাগে মোট দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি।
উচ্চ দারিদ্র্য রেখা অনুযায়ী ২০২২ সালে সকল বিভাগের শহরাঞ্চলে পল্লী অঞ্চল অপেক্ষা দারিদ্র্যের হার কম হলেও নিম্ন দারিদ্র রেখা অনুযায়ী ঢাকা ও খুলনা বিভাগের পল্লী অঞ্চল অপেক্ষা শহরাঞ্চলে দারিদ্র্যের হার বেশি। রংপুর বিভাগে দারিদ্র্য হ্রাসের হার সবচেয়ে বেশি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বরিশালে দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন।
আরও পড়ুন : দেশে নিরাপদ শৌচাগার সবচেয়ে কম বরিশালে
এদিকে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এটি দেশের ৫৩তম ও আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম বাজেট। গতবারের তুলনায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা বেশি ধরা হয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে।
এবারের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে এবারের বাজেটের আকার বাড়ছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এটি দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।
বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় বাজেটের আকার ৪.৬২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
বাজেটে বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ব্যাংক থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
মন্তব্য করুন