আজ আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট। এবারের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট রাজস্ব খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসছে। বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা হতে পারে।
এর মধ্যে দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধের জন্য এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখছে সরকার, যা মোট বাজেটের ১৪.২৪ শতাংশ।
এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে ৯৩ হাজার কোটি টাকা, বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে যাবে ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
জানা গেছে, গত পাঁচ বছরে সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণ হয়েছে দ্বিগুণ। চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে যে অর্থ রাখা হয়েছিল তা অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসেই বরাদ্দ শেষ হয়ে গেছে। গত এক দশকে বিদেশি ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ১০৮ শতাংশ।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো বিদেশি ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ৩০০ কোটি ডলার বা ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে সুদ পরিশোধের অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে সরকার।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সুদ পরিশোধে বরাদ্দ ছিল ৯৪ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা। তবে, ডলারের দাম ও সুদের হার বাড়ায় সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ বাড়িয়ে ঋণের সুদের জন্য এক লাখ ৫৩০০ কোটি টাকা রেখেছে সরকার।
জানা যায়, প্রণোদনা বাবদ ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা এবং সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাবদ ৮৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ভর্তুকি, সুদ আর সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় বিপুল অঙ্কের টাকা রাখতে গিয়ে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কর্মসূচি, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো কঠিন হচ্ছে। সব মিলিয়ে বিশাল বাজেটের ৪০ শতাংশই ভর্তুকি, সুদ পরিশোধ, সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় খরচ হবে।
মন্তব্য করুন