প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় রিমালের। ঝড়টি রোববার (২৬ মে) মধ্যরাতে চূড়ান্ত আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড় রিমাল উপকূলের প্রায় সব জেলায় চূড়ান্ত আঘাত হানতে পারে। ঝড়টির কারণে ১০ থেকে ১২ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
উপকূল থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল, যা আরও অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। যার ফলে দেশের সমুদ্রবন্দর ও উপকূলীয় জেলাগুলোতে সতর্কসংকেত দেওয়া হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে রোববার (২৬ মে) দিবাগত মধ্যরাতে কেন্দ্র অতিক্রম করবে। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড়। এর কেন্দ্র রাত ১২টায় উপকূল অতিক্রম করবে, পেছনের অংশ পার হতে রাত ৩টা বেজে যাবে। স্থলে তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা তাণ্ডব চালাতে পারে।
এদিকে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঝড়টি সকালে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
রিমালের প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরেও ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সকালে ঘূর্ণিঝড় রিমাল নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া এক বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
মন্তব্য করুন