বঙ্গবন্ধু ফিনিক্স পাখির মতো দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। সাধারণ মানুষের ভাগ্য ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেলা ১১টায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্তি উপলক্ষে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আয়োজনে ‘শান্তি ও সম্প্রীতির অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু আগেই বলেছেন ক্ষুধা নিরসন ছাড়া বিশ্বে শান্তি আসবে না। প্রথমে দারিদ্র্য দূর করতে হবে। বঙ্গবন্ধু নিজে দাঙ্গা দমন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ১৯৭২ সালে জুলিও কুরি পদকে ভূষিত হন। তিনি বলেন, বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘসহ বৈশ্বিক নেতারা আজ এসডিজি গোল বাস্তবায়নে প্ল্যানেট, পিপল ও পিস এই ৩টি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছে। ফলে বঙ্গবন্ধুর শান্তি প্রতিষ্ঠার দর্শন এখনো প্রাসঙ্গিক।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শান্তির যেসব কথা বলে গেছেন, প্রধানমন্ত্রী এখন সেসব বাস্তবায়ন করছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন ও ফিলিস্তিনের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, বিশ্বে এখনো অস্থিরতা বিরাজ করছে।
সভায় বঙ্গবন্ধু গবেষক মেজর (অব.) মোহাম্মদ আফিজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিকভাবেই দেশ স্বাধীন করেছেন। যুদ্ধে যে ক্ষতি হয়, তা থেকে তিনি বিরত থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাঙালি যখন আক্রমণের শিকার হয়, তখন তিনি যুদ্ধের ঘোষণা দেন।
আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন, সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। অতিথিদের মধ্যে ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বঙ্গবন্ধু গবেষক মেজর (অব.) মোহাম্মদ আফিজুর রহমান ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া।
মন্তব্য করুন