কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৪, ০২:৫৮ পিএম
আপডেট : ২১ মে ২০২৪, ০৩:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শাস্তি পাওয়ার মতো কোনো অপরাধ করিনি : সাবেক সেনাপ্রধান

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। পুরোনো ছবি
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। পুরোনো ছবি

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, শাস্তি পাওয়ার মতো কোনো অপরাধ করিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞায় অবাক হয়েছি। অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে যে কোনো পরিণতি মেনে নিতে প্রস্তুত রয়েছি।

মঙ্গলবার (২১ মে) একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল ২৪-কে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ দাবি করেন।

এর আগে দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য ঘোষণার কথা জানানো হয়।

এদিকে, সাক্ষাৎকারে আল জাজিরায় প্রকাশিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’-এর প্রসঙ্গ তুলে আনেন আজিজ আহমেদ। সেটাকে একটি নাটক হিসেবেও আখ্যা দেন তিনি।

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ বলেন, ‘২০২১ সালে আল জাজিরার তৈরি করা ডকুমেন্টারিতে যে দুটি অভিযোগ করা হয়েছিল, এই নিষেধাজ্ঞাতেও সেই দুই অভিযোগের কথা বলা হয়েছে। এই দুটি জিনিস ওতপ্রোতভাবে জড়িত।’

ভাইয়ের কথা বলতে গিয়ে আজিজ বলেন, ‘আমি সেনাপ্রধান হওয়ার অনেক আগে থেকে সে বিদেশে বসবাস করে। সে যদি বিদেশে গিয়ে থাকে তাহলে বৈধ পাসপোর্ট নিয়েই গেছে। এখানে আমি আমার পদ-পদবি ব্যবহার করে দেশের আইন ফাঁকি দিতে সাহায্য করেছি, এমন অভিযোগ মেনে নিচ্ছি না। মেনে নিতে পারি না। এটা সঠিক না।’

দ্বিতীয় অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ৪ বছর বিজিবিতে ও ৩ বছর সেনাপ্রধান ছিলাম। এই সময়কালে যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে, আমি আমার ভাইকে কোনো কন্ট্রাক্ট পেতে সাহায্য করেছি, তবে এর জন্য যে কোনো পরিণতি মেনে নিতে প্রস্তুত আছি।’

সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রমাণ পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা তাদের বিষয়। তারা প্রমাণ দিক। আমি আমার কোন ভাইকে কন্ট্রাক্ট দিয়েছি।’

আমেরিকান দূতাবাসে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার এটি করার কোনো প্রয়োজন নেই।’

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে আজিজ আহমেদকে ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। এর ফলে আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হবেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তার (আজিজ আহমেদ) কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অবমূল্যায়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা কমেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, আজিজ আহমেদ তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেন। এটা করতে গিয়ে তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। এ ছাড়া অন্যায্যভাবে সামরিক খাতে কন্ট্রাক্ট পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য তিনি তার ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তিনি নিজের স্বার্থের জন্য সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ নিয়েছেন।

আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসন শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করা হলো।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বৈরুত বিমানবন্দরের পাশেই ইসরায়েলি তাণ্ডব

সিলেটে রায়হান হত্যা মামলায় ২ যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

৫ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

রোহিঙ্গা সংকট একটি তাজা টাইম বোমা : ড. ইউনূস

বন্যার পানিতে মায়ের লাশের সঙ্গে ভেসে এল শিশু

লেবাননের যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষ, পিছু হঠল ইসরায়েলি বাহিনী

সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর জানাজা কখন-কোথায়?

আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসবে বিএনপি

সকালের মধ্যে দেশের ১৮ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

৫ অক্টোবর : নামাজের সময়সূচি

১০

আজও কি দিনভর সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে?

১১

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

১২

বিদ্যালয়ে কোনোরকম উচ্ছৃঙ্খলতা ছিল না

১৩

নারায়ণগঞ্জে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কাপড় জব্দ

১৪

ইদানীং শিক্ষকদের এক ধরনের হেয় করার প্রবণতা তৈরি হয়েছে

১৫

মানুষ হয়ে ওঠার শিক্ষা খুব জরুরি

১৬

কক্সবাজার সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রদল নেতা নিহত

১৭

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে বন্ধন সেটি ছিন্ন হয়ে গেছে

১৮

হত্যা মামলায় রসিকের সাবেক কাউন্সিলর মিলন গ্রেপ্তার

১৯

শিক্ষকদের শিক্ষাবাণিজ্য থেকে বেরিয়ে আসতে হবে

২০
X