কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৪, ০৮:৩৮ পিএম
আপডেট : ১৮ মে ২০২৪, ০৯:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নতুন ভবনে নতুন আঙ্গিকে গণহত্যা জাদুঘর

গণহত্যা জাদুঘরের এক দশক শিরোনামে দিনব্যাপী আলোচনা সভা। ছবি : সংগৃহীত
গণহত্যা জাদুঘরের এক দশক শিরোনামে দিনব্যাপী আলোচনা সভা। ছবি : সংগৃহীত

নতুন ভবনে নতুন আঙ্গিকে যাত্রা শুরু করছে গণহত্যা জাদুঘর। জাদুঘরের আর্কাইভে আছে মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত প্রায় ৯ হাজার ছবি ও দুষ্প্রাপ্য পত্রপত্রিকা।

শুক্রবার (১৭ মে) খুলনায় গণহত্যা জাদুঘরের দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে গণহত্যা জাদুঘরের এক দশক শিরোনামে দিনব্যাপী আলোচনা সভা ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ১০টায় প্রথম পর্বে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সেমিনার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনে সভাপতিত্ব করেন গণহত্যা জাদুঘরের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, ‘আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে আমাদের শেকড়কে। আমাদের শেকড় হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।’

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিবসে গণহত্যা জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করায় জাদুঘরের কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিরে আসায় আমরা আমাদের স্বাধীনতা আবার নতুন করে ফিরে পেয়েছি’।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘গণতান্ত্রিক সমাজে ঘাতকদের কখনো রাজনীতি করার অধিকার থাকতে নেই। যারা পাকিস্তানের রাজনীতি করতে চায়, তাদের রাজনীতি করার বিরুদ্ধে আমি। বাংলাদেশে কখনো অন্য রাষ্ট্রের রাজনীতি চলতে পারে না’।

মোট তিনটি পর্বে এই দিনব্যাপী আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১টায় শুরু হয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব। দ্বিতীয় পর্বের একাডেমিক সেশনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএচডি গবেষক পুনম মুখার্জি এবং পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. সাগর তরঙ্গ মন্ডল। তাদের প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীক এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শরিফ উদ্দিন আহমদ। এই অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি এবং বাংলাদেশের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও আর্কাইভিস্ট ড. মাহবুবর রহমান।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দশম শহীদ স্মৃতি স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি কবি তারিক সুজাত। কবি তারিক সুজাত ‘যে জাদুঘর জীবনের কথা বলে’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরকে প্রচলিত সংজ্ঞায় শুধু হিসেবে ভাবলে ভুল হবে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই জাদুঘরকে স্রোতের বিপরীতে সাঁতরাতে হয়েছে’।

অনুষ্ঠানে গণহত্যা জাদুঘরের এক দশক পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তারেক রহমানের নির্দেশনায় স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিতদের পাশে বিএনপি

কবে ও কোথায় ট্রাম্পের মুখোমুখী বসছেন পুতিন?

গ্রাম বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় : মঈন খান 

সৌদি, ওমান ও কাতার যেতে আগ্রহীদের জন্য সুখবর

নরসিংদীতে বিএনপির প্রতিবাদ সভা

২০০ ভূমিকম্পে কাঁপল ‘ইনস্টাগ্রাম’ দ্বীপ, পালাচ্ছে মানুষ

সাফজয়ী ফুটবলার সুমাইয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি

বাংলাদেশের ১ম প্লেটিং রিয়েলিটি শো ‘আর্ট অব প্লেটিং - সিজন ২’ তে অংশগ্রহণ করে ২০ লাখ টাকা জিতে নেওয়ার সুযোগ

বগুড়ায় বিপন্ন প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার

ইউএনওর বদলি প্রত্যাহারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ব্যানার, থানায় অভিযোগ

১০

নতুন প্রক্রিয়ায় মার্কিন ভিসার আবেদন, ৮ ফেব্রুয়ারি শুরু

১১

বিএনপি-জামায়াতের কারও ক্ষতি করিনি, ‍আদালতে সাবেক মন্ত্রী

১২

ঢাকায় নামছে গোলাপি রঙের বাস

১৩

ভারী বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা, বিপর্যস্ত অস্ট্রেলিয়া

১৪

সরকারি কর্মকর্তাদের কড়া সতর্কতা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের

১৫

পদত্যাগে বাধ্য করায় হাসপাতালে প্রধান শিক্ষক

১৬

বিএনপি একমাত্র দেশপ্রেমিক দল : আজাদ

১৭

এ দেশে প্রতিভাকে মূল্যায়ন করা হয়‌ না : ড. আবেদ

১৮

কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের সুখবর, গোল্ডেন ভিসা দিচ্ছে আমিরাত

১৯

ফারুক খানের ফেসবুকে স্ট্যাটাস, কারা অধিদপ্তরের ব্যাখ্যা

২০
X