কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম
আপডেট : ০৩ মে ২০২৪, ০৬:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় চান আমলারা

সন্তানদের পড়ালেখার জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন আমলারা। প্রতীকী ছবি
সন্তানদের পড়ালেখার জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন আমলারা। প্রতীকী ছবি

সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে চান আমলারা। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিবসে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের মুক্ত আলোচনায় এই প্রস্তাব দেন কর্মকর্তারা।

ওই প্রস্তাবনায় বলা হয়, সিভিল সার্ভিস অফিসারদের জন্য মাস্টার্স এবং উচ্চতর ডিগ্রি ও প্রশিক্ষণ এবং তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য আলাদা সিভিল সার্ভিস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।

এ সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব উপস্থিত ছিলেন।

মুক্ত আলোচনায় জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনাররা প্রধানমন্ত্রীর সামনে ২৪টি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে, বৈদেশিক শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য পদ সৃজন এবং পদায়নের ব্যবস্থা করা। উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের দীর্ঘদিনের ব্যবহৃত গাড়ি পরিবর্তন করে নতুন গাড়ি সরবরাহ করা। মোবাইল কোর্ট সম্পর্কিত আপিল মামলাটি সরকার পক্ষে দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।

এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে বাস যোগাযোগ চালু করা, পাথরঘাটা উপজেলায় জেলেদের স্বার্থ রক্ষায় একটি কোল্ড স্টোরেজ বা মৎস্য সংরক্ষণাগার স্থাপন করা প্রয়োজন। গাইবান্ধা জেলায় নারী ও শিশুদের জন্য একটি সেইফ হোম স্থাপন করা যেতে পারে।

প্রস্তাবনায় বলা হয়, পদ্মা নদীর প্রবেশমুখে (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) এবং রাজশাহী জেলায় নদীটির কিছু অংশ ড্রেজিং করে বড় জাহাজ চলাচলের উপযোগী নদীর চ্যানেল সৃষ্টির মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী ও রূপপুর হয়ে দক্ষিণ অঞ্চল পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন নৌপথ তৈরি করা হলে রাজশাহী অঞ্চলের সঙ্গে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের নৌপথ চালু হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আম প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন।

এতে বলা হয়, ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ের প্রত্নতত্ত্বগুলোর সংরক্ষণ ও সুরক্ষা এবং এর প্রসারে মহাস্থানগড়ের প্রত্নতত্ত্ব এলাকাভুক্ত ব্যক্তি মালিকানা জমি অধিগ্রহণ করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণপূর্বক পর্যটক ও গবেষকদের জন্য আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলা প্রয়োজন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে আগাছানাশক তথা ঘাস মারার যে কোনো ধরনের রাসায়নিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আগাছা দমনের বিকল্প জৈবিক উপায়ের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন।

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা স্যার জেসি বোশের নামে গবেষণাধর্মী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যেতে পারে। সারা দেশে অবস্থিত সরকারি এবং এমপিওভুক্ত কলেজে ব্যাপকভাবে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালুকরণ বন্ধ করে বিদ্যমান অনার্স ও মাস্টার্স লেভেলে প্রতি বছর নতুন নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্তকরণ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। বান্দরবান জেলায় ফল প্রসেসিং কারখানা স্থাপন করা যেতে পারে। ময়মনসিংহ শহরের যানজট নিরসনে বর্তমান রেললাইনটি স্থানান্তর করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরের বাইপাস মোড় হয়ে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পিছনে সরিয়ে নিলে এবং পুরাতন রেললাইনের স্থলে ৩০০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ করা হলে ময়মনসিংহ শহরের তীব্র যানজট ও জনভোগান্তি কমে যাবে।

প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয় স্থাপন প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের জন্য বরাদ্দকৃত আরও ৭২০ কোটি টাকা ছাড় করার জন্য অর্থবিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করা হলে ওই প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। উপজেলা পর্যায়ে ডাক্তার নার্সদের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক মানসম্মত ও আধুনিক আবাসন ব্যবস্থা নির্মাণ করা যেতে পারে। জেলার হাসপাতালগুলোতে রোগীদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থের একটি অংশ যদি স্থানীয়ভাবে খরচ করার সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে হাসপাতালগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মান উন্নত হবে এবং বিপুল পরিমাণ যন্ত্রপাতি নিয়মিত মেইনটেন্যান্স করা সম্ভব হবে।

এতে আরও বলা হয়, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পূর্ণরূপে চালুকরণ, গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী বা রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় একটি নির্দিষ্টকৃত কারিগরি ও বৃত্তিমূলক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। খুলনা অঞ্চলে সুপেয় পানির পুকুর সংরক্ষণ করা যেতে পারে। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকার জন্য পৃথক/বিশেষ থানা গঠন করা যেতে পারে অথবা বিদ্যমান থানা ২টির আনুপাতিক জনবল ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে এবং রোহিঙ্গাদের দ্বারা সংগঠিত অপরাধের বিচারার্থে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা যেতে পারে। রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক সম্বলিত ডেটাবেজে সরকারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রবেশাধিকার থাকা প্রয়োজন বলেও মনে করেন আমলারা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভালুকায় এল এসকোয়্যার কারখানায় তিন শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ

কুমিল্লায় পরকীয়া প্রেমিকের টাকা না দেওয়ায় ট্রিপল মার্ডার

সাগরে নিম্নচাপের আশঙ্কা, ৩ নম্বর সংকেত

৯ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম’

ইসরায়েলে রকেট হামলা, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ভিয়েতনামেও আছড়ে পড়ল সুপার টাইফুন ‘ইয়াগি’, মৃত্যু ৪

ওএসডি হলেন অতিরিক্ত সচিব সায়লা ফারজানা 

জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ ঘটছে আজ

অভিজ্ঞতা ছাড়াই ১৫০০ জনবল নেবে দারাজ

১০

আজ চট্টগ্রাম যাবেন হাসনাত, মুন্সিগঞ্জে সারজিস

১১

জনবল নেবে মধুমতি ব্যাংক, ৩৫ বছরেও আবেদন

১২

রাজশাহীতে গণপিটুনিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নিহত 

১৩

কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৪

দেশে ফিরলেন আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৪ বাংলাদেশি

১৫

আজকের নামাজের সময়সূচি

১৬

শহীদ আমিনুলের সন্তানদের দায়িত্ব নিল ইত্তেফাকুল উলামা

১৭

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

১৮

মিছিলে বিএনপি নেতার গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

১৯

রৌমারীতে ব্যবসায়ীদের আহ্বায়ক কমিটির শপথ অনুষ্ঠিত

২০
X