গাম্বিয়ার বানজুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সম্মেলনের ১৫তম অধিবেশনে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রস্তুতিমূলক বৈঠক শুরু হবে ২ মে থেকে, যার নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
টেকসই উন্নয়নের জন্য সংলাপের মাধ্যমে ঐক্য ও সংহতি জোরদার- প্রতিপাদ্য নিয়ে গাম্বিয়ার বানজুলে ওআইসি সম্মেলনের ১৫তম অধিবেশনের প্রস্তুতি সভা গত মঙ্গলবার শুরু হয়েছে। দুদিনব্যাপী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
জানা গেছে, ইউরোপ সফর শেষ করে বুধবার (১ মে) গাম্বিয়ায় যাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ৪-৫ মে গাম্বিয়ার রাজধানী বানজুলে ১৫তম বার্ষিক ওআইসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের ওআইসির সম্মেলনে ফিলিস্তিন প্রশ্ন, তরুণ, নারী, পরিবার, ইসলামোফোবিয়া, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সদস্য নয় এমন দেশগুলোর মুসলিম সংখ্যালঘুসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রসমূহের নেতারা মুসলিম বিশ্বের রাজনৈতিক ইস্যু বিশেষ করে ফিলিস্তিন ইস্যু, অর্থনৈতিক, মানবিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়, যুবসমাজ, নারী, পরিবার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য, মুসলিম সম্প্রদায় এবং ওআইসি বহির্ভূত দেশগুলোর সংখ্যালঘু, ইসলামোফোবিয়া, ঘৃণামূলক বক্তব্য, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা এবং আইনি বিষয়ে আলোচনা করবেন।
ওআইসির ১৫তম সম্মেলনে চূড়ান্ত ইশতেহার প্রকাশ করা হবে, যার মধ্যে থাকবে শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থাপিত ইস্যুতে সংস্থাটির অবস্থান, ফিলিস্তিন ও আল-কুদস আল-শরিফ সম্পর্কিত একটি প্রস্তাব এবং বানজুল ঘোষণা।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, স্থায়ী প্রতিনিধি ও ওআইসিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি জাবেদ পাটোয়ারী, নাইজেরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ও গাম্বিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অনাবাসিক হাইকমিশনার মাসুদুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আন্তর্জাতিক সংস্থা) ওয়াহিদা আহমেদ বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় সাম্প্রতিক নৃশংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিন সম্পর্কিত বিষয়গুলো ওআইসির এবারের আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে।
এ ছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকে অর্থনৈতিক, মানবিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং মুসলিম উম্মাহর ওপর প্রভাব ফেলে এমন নারী ও যুবসমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
মন্তব্য করুন