কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৩, ০৫:২৯ পিএম
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৩, ০৭:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘দেশে ৪০ শতাংশ শিশু নির্যাতনের শিকার’

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

সবধরনের শিশুশ্রম বন্ধে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেছেন, দেশে ৪০ শতাংশ শিশু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের প্রতিনিয়ত মারধরসহ নানা ধরনের নিপীড়ন সহ্য করতে হচ্ছে। শিশুশ্রম বিশ্বের কোথাও গ্রহণযোগ্য নয়। তাই শিশুশ্রম বন্ধ করে শিশুদের মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।

সোমবার (১৭ জুলাই) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সম্মেলন কক্ষে ‘ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের তালিকায় গৃহকর্ম অন্তর্ভুক্তকরণের অগ্রগতি ও আইনি বাস্তবতা’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি), শাপলা নীড় ও এডুকো-বাংলাদেশ আয়োজিত সংলাপে সভাপতিত্ব করেন এএসডির নির্বাহী পরিচালক এম এ করিম। আলোচনায় অংশ নেন মানবাধিকার কমিশনের সচিব নারায়ণ চন্দ্র সরকার, মানবাধিকার কমিশনের সদস্য মো. সেলিম রেজা ও রবিউল ইসলাম, শাপলা নীড়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর তমকো উচিয়ামা, শিশু অধিকার ফোরামের সভাপতি মো. মাহবুবুল হক, কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম সেক্রেটারি নাসিমা আক্তার জলি, ইউনিসেফের চাইল্ড প্রোটেকশন স্পেশালিস্ট শাবনাজ জাহেরিন প্রমুখ। সংলাপে মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ সরফুদ্দিন খান। আলোচনায় অংশ নিয়ে ড. কামাল উদ্দিন বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে সকল ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন করা হবে। এই জন্য শিশুশ্রমকে নিষিদ্ধের তালিকা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি শিশু নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু শিশুদের সঠিক পরিসংখ্যান নেই।

সংলাপে উত্থাপিত প্রবন্ধে বলা হয়েছে, জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি অনুযায়ী, ২০১৩ সালে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই তালিকায় ৩৮টি কাজকে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সম্প্রতি আরও ৫টি কাজ তালিকায় যুক্ত হলেও সেখানে গৃহকর্মকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অথচ দেশে কর্মরত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সংস্থা এবং জাতিসংঘের বিশেষায়িত শিশু অধিকার সংস্থাগুলো গৃহকর্মকে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছে।

প্রবন্ধে আরও বলা হয়েছে, গৃহকর্মী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ব্যতীত শিশু গৃহকর্মীদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ইতোমধ্যেই গৃহকর্মী সুরক্ষা আইনের একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে আপাতত- ১৪ বছর বয়সের নিচে কোনো শিশুকে যাতে গৃহকর্মে নিয়োগ দিতে না পারে সে বিষয়ে বিশেষ বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজশাহীতে বাসচাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত

‘পুলিশ ও জনগণ একে অন্যের পরিপূরক হলে আমরা একটি সুন্দর সমাজ গড়তে পারব’

চন্দনাইশের সালমা আদিল ফাউন্ডেশনের বৃত্তি প্রদান

হিন্দুদের ওপর সহিংসতা নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাত্রদের কীর্তিগাথাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে : ইসলামিক ফ্রন্ট

উপদেষ্টা হাসান আরিফের প্রয়াণে পূজা পরিষদের শোক

পুলিশকে ১৫ বছর রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে : আইজিপি

লিটনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সালাউদ্দিন

‘হাওরের অল-ওয়েদার সড়কে সৃষ্ট সমস্যাগুলোর সমাধান করা হবে’

বগুড়ায় যুবককে কুপিয়ে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই

১০

ব্যাংকের মাধ্যমে ডিএমপির ট্রাফিক মামলার ফাইন কালেকশন উদ্বোধন

১১

বিএনপি নেতার বাড়ি ভাঙচুর করলেন ছাত্রদল নেতা

১২

সরকারের কাছে বুয়েট শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি

১৩

বগুড়ায় দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২

১৪

সাবেক সচিব ইসমাইল হোসেন দুই দিনের রিমান্ডে

১৫

সেন্টমার্টিনে কোস্টগার্ডের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ

১৬

নাটোরে আগুনে পুড়ে সাংবাদিক কন্যার মৃত্যু

১৭

‘প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র যতই বাড়ছে, জাতীয় ঐক্য আরও দৃঢ় হচ্ছে’

১৮

জাহাজের অসুস্থ যাত্রীকে কোস্টগার্ডের জরুরি চিকিৎসা সহায়তা

১৯

দিনাজপুরে বিএনপির উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

২০
X