দেশের কয়েকটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট ও কুমিল্লা অঞ্চলের ওপর দিয়ে একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এ অবস্থায় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। এ সময় দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে টানা তিনদিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়। এরমধ্যে আবার চলছে লোডশেডিং। ফলে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে।
আবহাওয়া বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ১৭ এপ্রিল তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। সবশেষ ১৮ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এখন পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
মন্তব্য করুন