আসন্ন বাজেট প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার বলেছেন, যতই দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে বাজেটের পরিধি। এতে বোঝা যাচ্ছে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বেড়ে চলেছে। আসন্ন বাজেট ৮ লাখ কোটি টাকা ছাড়াবে। এবারের বাজেটে যোগাযোগ পরিবহনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। যোগাযোগ যেকোনো দেশের জন্য উন্নয়নের সূতিকাগার।
তিনি বলেন, আমি মনে করি দেশের যোগাযোগ খাতে আরও উন্নয়ন করতে হবে। এই জন্য দেশের প্রতিটা অঞ্চলকে গুরুত্ব দিয়ে যোগাযোগ খাতে আরও উন্নতি করব।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত ‘সমসাময়িক দেশের অর্থনীতি উন্নয়ন নিয়ে আলোচনাসভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিল’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় দেশের সার্বিক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। সমগ্র দেশে উন্নয়ন হচ্ছে। আর্থিকভাবে দেশ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আমরা উন্নয়নে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আপনারা দেখবেন সারাবিশ্বে মন্দা হচ্ছে। করোনা সংকট ও ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাতেও আমাদের উন্নয়ন থেমে নেই। আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি।
বাজেটের পাশাপাশি এডিবির আকার বাড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার দুই লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। সামনে এই আকার আরও বাড়বে। এতে প্রমাণিত হয় আমাদের উন্নয়ন বাড়ছে। বাজেট বৃদ্ধির পাশাপাশি এডিপির আকারও বাড়বে। আপনারা দেখেন ২০০৮ সালে এডিপি কত ছিল আর এখন কত।
তৃতীয় পদ্মা সেতুর স্থলে টানেল নির্মাণের বিষয়ে আশস্ত করে শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, বর্তমান সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে। এর ফলে আমাদের যোগাযোগে একটা মাইলফলক তৈরি হয়েছে। মানুষের যাতায়াত অনেক সুবিধা হয়েছে। যমুনা সেতুর পাশ দিয়ে নতুন রেলসেতু নির্মাণ শেষপর্যায়ে। এর ফলে একদিকে যমুনা সেতুর স্থায়িত্ব বাড়বে অন্যদিকে রেলপথে যাতায়াত সহজ থেকে সহজতর হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তৃতীয় পদ্মা সেতুর বদলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় টানেল নির্মাণের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। ওইদিকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থেকে গাইবান্ধা পর্যন্ত আরেকটি টানেল নির্মাণের পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে। এটা যমুনা নদীর তলদেশ দিয়ে হবে। কর্ণফুলী টানেল এখন স্বপ্ন নয় বাস্তবতা। আমাদের সরকারের মূলমন্ত্র উন্নয়ন।
তিনি বলেন, কৃষিপণ্য সংরক্ষণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কৃষি শস্য সঞ্চয়ের জন্য সাইলো গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেক সাইলো নির্মাণ করেছি। পাশাপাশি কিছু খাদ্যগুদাম আছে এগুলো সংস্কার করছি। এতে করে খাদ্য নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হবে। এই বিষয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছি, সামনে আরও অনুমোদন দেব। এ ছাড়া আলু সংরক্ষণেও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।
ডিজেএফবির যুগ্ম সম্পাদক ও জাগোনিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মফিজুল সাদিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার হামিদ-উজ-জামান, সহসভাপতি মর্নিং হেরাল্ডের সাহানোয়ার সাইদ শাহীন প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক এম আর মাসফি, অর্থ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, দপ্তর সম্পাদক আলতাফ হোসেন, প্রচার ও গবেষণা সম্পাদক মিনাক্ষী চৌধুরী, সদস্য জাহিদুল ইসলাম এবং জাকারিয়া কাঞ্চন।
মন্তব্য করুন