সোমালিয়ার উপকূলে নেওয়ার এক দিনের মধ্যে ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজটিকে কাছাকাছি অন্য এলাকায় জলদস্যুরা সরিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জাহাজটির চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খান।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় জাহাজের মালিকপক্ষের কাছে এক ই-মেইলে এ কথা জানান তিনি।
তথ্যসূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুরে প্রথমে সোমালিয়ার গ্যারাকাদ উপকূল থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে দস্যুরা জিম্মি হওয়া জাহাজটি নোঙর করেছিল। তারপর সন্ধ্যার দিকে উপকূল থেকে ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে। জাহাজটি আবারও নোঙর তুলে কাছাকাছি অন্য এলাকায় নিয়ে যায় শুক্রবার।
দস্যুরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে জাহাজের অবস্থান পরিবর্তন করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসআর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরেুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চিফ অফিসারের মেইল পেয়েছি। জাহাজের নাবিকেরা সুস্থ আছেন বলে চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খান জানিয়েছেন। দস্যুরা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেনি এবং এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের আর্থিক দাবি-দাওয়া নিয়েও কথা বলেনি। জাহাজ নিয়ে তাদের পছন্দমতো কোনো নিরাপদ অবস্থানে পৌঁছানোর পরই হয়তো জলদস্যুরা মুক্তিপণ দাবি করতে পারে।
এদিকে কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, দস্যুরা এখনো যোগাযোগ করেনি। তবে আমরা বসে নেই। আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারী সংগঠনগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ চলছে।
উল্লেখ্য, পণ্যবাহী জাহাজটি কয়লা নিয়ে ভারত মহাসাগর হয়ে মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। পথে গত মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ।
মন্তব্য করুন