সংখ্যাগত দিক, সময়ের সাথে সাথে, বাংলাদেশের জন্য জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেটের অনুপাত ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। ২০০৯-২০১০ সালে মোট বাজেট বরাদ্দের ২৪.৬৫ থেকে ২০২৩-২০২৪ সালে ৩৪.৩৭ শতাংশ বেড়েছে। এই পটভূমিতে, উন্নয়ন ব্যয়ের জেন্ডার রেসপনসিভ বাজেটের একটি মন্ত্রণালয়-ভিত্তিক বিশ্লেষণ গ্রহণ করা হয়েছে । মন্ত্রণালয়গুলির উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকারের উপর ভিত্তি করে বরাদ্দের সমালোচনামূলক মূল্যায়ন করার চেষ্টা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় অনলাইনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অফ উইমেন এর ৬৮ তম অধিবেশনে জেন্ডার সমতার জন্য অর্থায়ন: জেন্ডার বাজেট'`শিরোনামে প্যারালাল ইভেন্ট অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সানেমের গবেষণা পরিচালক সায়মা হক বিদিশা।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একাদশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রি এর সভাপতি এবং নিটল-নিলয় গ্রুপের ভাইস চেয়ারপারসন সেলিমা আহমাদ, সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ড. হোসনে আরা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান এবং এশিয়া প্যাসিফিকের আঞ্চলিক ব্যুরো, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির এশিয়া প্যাসিফিকের আঞ্চলিক ব্যুরো এর পলিসি অ্যাডভাইজার নাজনীন আহমেদ।
স্বাগত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের প্রেক্ষাপটে জেন্ডার রেসপনসিভ নীতিমালা ও আইনসমূহ প্রণয়ন করা হলেও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় এখনও বেশ জেন্ডার গ্যাপ রয়েছে। যা বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের কাছে বেশ উদ্বেগের। অধিকার ভিত্তিক এপ্রোচের মাধ্যমে নারীর অগ্রগতিকে তরান্বিত করতে জেন্ডার রেসপনসিভ বাজেট অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, এজন্য জেন্ডার রেসপনসিভ বাজেটের সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং এর জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণ এবং জেন্ডার ডিসএগ্রিগেটেড ডাটা তৈরি নিশ্চিত করতে নারী আন্দোলনের পক্ষ থেকে সরকারের সাথে ক্রমাগত অ্যাডভোকেসি চালিয়ে যাওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
মূল প্রবন্ধে সায়মা হক বিদিশা বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, বিদ্যমান পিতৃতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সূচকের পরিপ্রেক্ষিতে নারীদের পিছিয়ে থাকা অবস্থানের বিপরীতে ‘একটি জেন্ডার রেসপনসিভ বাজেট জেন্ডার গ্যাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে’- এই যুক্তির উপর ভিত্তি করে, অর্থবছর ২০১০ সাল থেকে, বাংলাদেশ সরকার জেন্ডার লেন্সের এর আলোকে জাতীয় বাজেট বিশ্লেষণ শুরু করেছে এবং বার্ষিক একটি জেন্ডার বাজেট রিপোর্ট পেশ করে আসছে।
মন্তব্য করুন