অনলাইন প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৪, ০৬:০২ পিএম
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৪, ১০:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দেশের বিভিন্ন জায়গার বাহারি ইফতার

চট্টগ্রামে ইফতার কেনা-বেচায় ব্যস্ততা। ছবি : কালবেলা
চট্টগ্রামে ইফতার কেনা-বেচায় ব্যস্ততা। ছবি : কালবেলা

বছরঘুরে আসে পবিত্র মাহে রমজান। এই মাস ঘিরে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে থাকে নানা প্রস্তুতি। সবাই সবার জায়গা থেকে প্রস্তুতি নেয় বিশেষ এ মাসকে উদযাপনের জন্য। বিশেষ করে সবাই একসঙ্গে সেহরি ও ইফতারের চেষ্টা করেন। আর ইফতারে পুরো দেশের বিভিন্ন জায়গায় থাকে নানা রকমের খাবারের পসরা।

দেশের প্রতিটা জেলা এবং অঞ্চলেরই আছে কিছু নিজস্ব ঐতিহ্য। সেইসব ঐতিহ্য অনুযায়ী রকমফের হয় ইফতারের।

চলুন দেখে নেওয়া যাক দেশের বিভিন্ন জায়গার আজকের ইফতার আয়োজন-

চট্টগ্রাম

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে জমে উঠেছে রমজানের প্রথম দিনের ইফতারের বাজার। অভিজাত রেস্তোরাঁ থেকে ফুটপাত, সব জায়গায় বাহারি ইফতারের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। ক্রেতার ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো।

নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরের পরপরই দোকানের বাইরে সামিয়ানা টানিয়ে ইফতারি বিক্রির প্রস্তুতি শুরু করেন বিক্রেতারা। ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপসহ নানা সব বাহারি খাবার বিক্রি করছেন তারা। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই বাড়ে ক্রেতাদের ভিড়।

তবে রোজার প্রথম দিন সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে, হালিমের হাঁড়ির সামনে। রীতিমতো হুড়োহুড়ি করে নগরের জিইসি মোড় এলাকার হান্ডি রেস্টুরেন্ট থেকে হালিম কিনছেন ক্রেতারা। হালিমের পাশাপাশি ক্রেতাদের পছন্দের হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানি, মেজবানির মাংস, শ্রীলঙ্কান রোল, শাম্মি কাবাব, বাট্টি পরোটা, চিকেন কাটলেট, জিরা পানি, দই-জিরা পানি, জুস, হালিম আখনি, ল্যাম্ব শর্মা, চিকেন শর্মা, শ্রিম্প পাকোড়া, পুরান ঢাকার শাটল কাবাব, মাটন লেগরোস্টসহ নানা মুখরোচক ইফতারসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে দেদারসে।

হান্ডি রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক মাজহারুল হক বলেন, ‘প্রতি রমজানে আমাদের দৈনিক একশ কেজির বেশি হালিম বিক্রি হয়। হালিমের মধ্যে চিকেন, বিফ ও মাটন তিনটাই আছে। তিনটার দামও এক, প্রতি কেজি ৬৮০ টাকা।’

এবার রয়েল বাংলার মাটন হালিম কেজি ৯০০ টাকা, চিকেন হালিম ৭০০ টাকা, মেজবানি মাংস ১ হাজার টাকা, বিরিয়ানি কৌটা (২ জনের) ৩৫০ টাকা, জাফরান ফিরনি ৩৮০ টাকা, দই ৩৬০, টক দই ৩০০ টাকা। এ ছাড়া রকমারি ইফতারি আইটেম আছে।

রাজশাহী

ইফতারসামগ্রীর জন্য পদ্মাপাড়ের বিভাগীয় শহর রাজশাহীর সুনাম দেশজুড়েই। তবে এবার পবিত্র রমজানের প্রথম দিন রাজশাহীতে গেল কয়েক বছরের তুলনায় ইফতারসামগ্রীর দাম অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে গত বছরের চেয়ে এবার ইফতারি কিনতে ক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ টাকা।

ছোলা, বুট থেকে শুরু করে ইফতারির প্রতিটি সামগ্রীর দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা করে। আবার যেসব সামগ্রীর দাম বাড়েনি, সেসব সামগ্রীর আকার ছোট হয়ে গেছে। তারপরও রমজানের প্রথম দিনই ইফতারির দোকানগুলো ছিল ক্রেতা সমাগমে পূর্ণ।

মহানগরীর প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার গলি পথেও ঐতিহ্যবাহী ইফতারসামগ্রী নিয়ে বসেছেন মৌসুমি দোকানিরা। মহানগরীর সাহেববাজার, আলুপট্টি, কুমারপাড়া, ভদ্রা, সোনাদিঘির মোড়, সিঅ্যান্ডবি মোড়, লক্ষ্মীপুর, কাদিরগঞ্জ, বিন্দুরমোড়, নিউমার্কেট, গণকাপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে পসরা সাজিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ইফতার। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই দোকানগুলোতে রকমারি ইফতার তৈরি হয়েছে এ বছরও। ঘিয়ে ভাজা বোম্বে জিলাপি, রেশমি জিলাপি, স্পেশাল ফিরনি, ক্ষিরসা, ফালুদা, নবাবী টানা পরোটা, কাশ্মিরি পরোটা, চিকেন মসলা, রেশমি কাবাব, তেহারি, কাচ্চি বিরিয়ানি, চিকেন ফ্রাই, মাঠা-ঘোল ও নানা রকমের জুসসহ জনপ্রিয় ইফতারসামগ্রীগুলো এবারও শুরুতেই মন কাড়ছে রাজশাহীর মানুষের। প্রথমদিন ইফতারে স্বাদের ভিন্নতা ও বৈচিত্র্য আনতে সাধ ও সাধ্যমতো সবাই প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।

দেখা যায়, একটি রেশমি কাবাব ১৫০ টাকা, বিফের শিক কাবাব ১৪০ টাকা, চিকেন সাসলিক ১০০ টাকা, ব্যাংকক চিকেন ৪০ টাকা, চিকেন জালি কাবাব ৪০ টাকা, মাটন পরাটা ৫০ টাকা, শামী কাবাব (বিফ) ৫০ টাকা এবং একটি চিকেন ফ্রাই বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দিয়ে। গত বছরের তুলনায় সব ধরনের ইফতারসামগ্রীর দাম বেড়েছে।

রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের কালোজিরা মিশ্রিত জিলাপির বেশ কদর। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। আব্দুল হাকিম নামে এক ক্রেতা বলেন, জিলাপির মান ঠিকই আছে। কিন্তু গত বছরের তুলনায় দাম বেশি। গত বছর এক কেজি জিলাপি ছিল ৩০০ টাকা। আর এবার কেজিপ্রতি ১০০ টাকা দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪০০ টাকা। এভাবে প্রতিটি ইফতারের দাম বাড়ানো হয়েছে।

বরিশাল

রমজান শুরুর প্রথম দিনে অনেক আইটেমের ইফতার সাজিয়ে বসে ঐতিহ্যবাহী বরিশাল নগরীর বগুড়া রোডের নাজেম’স রেস্তোরাঁ। বিভিন্ন আইটেমের ইফতার নিয়ে বসেছেন সকাল সন্ধ্যা সুইটস্, নিউ আকাশ রেস্তোরাঁ, রোজ গার্ডেনসহ বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ। নগরীর বাজার রোড, সদর রোডসহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতে ইফতারের আইটেম নিয়ে বসেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

এসব স্থানে সাধারণ আলুরচপ, বেগুনি, পিঁয়াজু, সবজির চপ, চিকেন চপ, ডিমের চপ, চিকেন পুলি, ফিরনি, বোরহানি, চিকেন ফ্রাই, তেহারি, বুন্দিয়া, ছোলাবুট, জিলাপি, মোরগ পোলাও, কাচ্চি বিরিয়ানি, হালিম, শাহি জর্দা, মুরগি মোসাল্লাম, খাসির রান, গরুর কালো ভুনা ও ঘোলসহ নানা ধরনের ইফতার আইটেমে ঠাসা ইফতার বাজার। এছাড়া মৌসুমি ফল কলা, আনারস, পেয়ারা ও পেঁপেসহ বিভিন্ন ফলফলাদির দোকানও বসেছিল নগরীর ফুটপাতজুড়ে।

নগরীর গোরস্থান রোড এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুর রহিম জানান, ব্যস্ততা ও নানা ঝামেলার কারণে প্রতিবারই রোজায় ইফতারের কিছু আইটেম বাইরে থেকে কিনতে হয়। বিকেল ৪টা থেকে নামিদামি ও ছোটখাটো প্রায় বহু দোকান ঘুরে দেখেছেন তিনি। এবারে ইফতারের বাজারে আইটেম প্রতিবারের মতো একই থাকলেও এবারে প্রথম রোজা হওয়ায় একটু ক্রেতা সমাগম বেশি।

এদিকে, নগরীর বিবির পুকুর পাড়ের ইফতার ব্যবসায়ী মনির জানান, ক্ষুদ্র এ দোকানে ইফতারের আইটেমভেদে ৫ টাকা থেকে শুরু করে ২০ টাকা পর্যন্ত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় তাদের ব্যবসাও ভালো জমজমাট হবে বলে জানান তিনি।

খাগড়াছড়ি

প্রথম দিনেই জমে উঠেছে পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ির ইফতার বাজার। সারাদিন সিয়াম সাধনার পর ইফতার নিয়ে রোজাদারদের থাকে নানা ভাবনা। বেলা যত গড়িয়েছে ততই জমজমাট হয়ে উঠছে ইফতারের বাজার। রোজাদারদের কথা বিবেচনা মাথায় রেখে খাগাড়ছড়ির বিভিন্ন হাট-বাজারে নানা পদের ইফতারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, পানছড়ির বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিকেল ৩টা বাজতেই রকমারি ইফতারি সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। বাহারি এসব ইফতারির স্বাদ নিতে দুপুরের পর থেকে ভোজনবিলাসীরা ছুটে এসেছেন। এ সময় বিভিন্ন দোকানের সামনে দীর্ঘ জটলা দেখা গেছে।

বিকেল ৩টা বাজতেই বিভিন্ন বাজারে রাস্তার পাশে রকমারি ইফতারের পসরা সাজানো শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। ইফতার মেন্যুর মধ্যে ছিল ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, মরিচা, আলুর চপ, হালিম, বিরিয়ানি ও জিলাপিসহ মজাদার খাবার।

ভাসানচর

নোয়াখালীর ভাসানচর রোহিঙ্গাদের মাঝে প্রশাসন ও বিভিন্ন এনজিওর তরফ থেকে গত দুদিন রমজানের ইফতারের বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ইম্প্যাক্ট নামে একটি এনজিও ৬২টি গরু উপহার দিয়েছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে রোহিঙ্গাদের মাঝে এসব গরুর মাংস বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া ছোলা বুট, মুড়ি, ডাল, তেল, চিনি, আরও অন্যান্য সামগ্রী প্রত্যেকটি পরিবারের জন্য দেওয়া হয়।

ময়মনসিংহ

দুপুরের পরপরই ময়মনসিংহ নগরীর জিলা স্কুল মোড়, নতুন বাজার, গাঙ্গিনারপাড়, সিকে ঘোষ রোড, চরপাড়া, ব্রিজ মোড়সহ প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই ইফতার বেচাকেনার তুমুল ব্যস্ততা চোখে পড়েছে।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রচলিত ইফতারির পাশাপাশি নানা স্বাদের বাহারি আয়োজন সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। গতবারের মতো এবারও নগরীর সারিন্দা, নবাবী, ধানসিঁড়ি, রোমথ্রিসহ নামি রেস্টুরেন্টগুলোতে শামী কাবাব, জালি কাবাব, চিকেন ছাছলিক, মাটন চাপসহ হরেক রকমের ইফতার সামগ্রী চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। তবুও এসব ইফতারি কিনতে দেখা গেছে ক্রেতাদের জটলাও।

নবাবী রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখা যায়, বেগুনি ও পিয়াজু প্রতি পিছ ১০ টাকা, আলুর চপ ও পাকোড়া ১৫ টাকা, চিকেন সাসলিক ১২০ টাকা, টিক্কা কাবাব, ৬০, নারগিস কাবাব ৭০, রাশিয়ান ফ্রাই ১৭০, চিকেন চাপ ১৭০, আস্ত মুরগির রোস্ট ৫২০, পাতিল ভেদে হালিম ১৫০ থেকে ১০০০ টাকা, বোরহানি প্রতি লিটার ২৪০ টাকাসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে।

নবাবী রেস্টুরেন্টের কর্মী মোর্শেদ কামাল জানান, গতবারের চেয়ে বেশি ইফতার সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে এখানে। এবার আমরা ৪৫ টি আইটেম রেখেছি। দাম আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। প্রথম দিনে ক্রেতার বেশ ভালো।

এছাড়া প্রায় ১০০ ইফতার সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেছে সারন্দা রেস্টুরেন্ট। ইফতারে মুখে স্বাদ আনতে অতুলনীয় সারিন্দার স্পেশাল হালিম। ১৬০ থেকে ৩৬০ টাকা পাতিলে বিক্রি হচ্ছে খাবারের এই পদটি। নগরীর নানা প্রান্ত থেকেই লোকজন ভিড় জমান এ হালিমের স্বাদ নিতে।

রেস্টুরেন্টের সহকারী পরিচালক ওলিনুর আলম কুন্তন বলেন, আমরা যেসব ইফতার সামগ্রী তৈরি করেছিলাম তা ৪ টার মধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। এরপর আবারও আয়োজন করা হচ্ছে। এবার প্রথম দিনে ক্রেতার চাহিদা অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে।

নগরীর অন্যান দোকানিরা জানিয়েছেন, সকাল ১১টা থেকেই প্রতিটি দোকানে দোকানে শুরু হয়ে যায় ইফতার তৈরি। তখন ভাজা শুরু হয় পেঁয়াজু, আলুর চপ ও বেগুনির মতো আইটেমগুলো। আর সর্বত্রই মিলছে সাধারণ ছোলা-মুড়ি, পেঁয়াজু, খেজুর, জিলাপি, বেগুনি এবং আলুর চপ।

খুলনা

তপ্ত কড়াই থেকে ছেঁকে ছেঁকে তোলা হতে থাকে বেগুনি, পিঁয়াজু, চপ, জিলাপিসহ নানা রকমের খাবার। পাশেই টেবিল পেতে বিক্রি হচ্ছে। এ চিত্র এখন খুলনা শহরের মোড়ে মোড়ে। খুলনার নিউ মার্কেটের কাচা বাজারের সামনে ফুটপাতে মুখরোচক এসব খাবার কিনতে ভিড় করছেন রোজাদাররা। তবে বেশ কিছু ইফতার সামগ্রীর বাড়তি দামের কারণে ক্রেতাদেম রয়েছে অসন্তোষ।

প্রথম রমজানে মহানগরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, বাহারি সব খাবারের সন্ধান করেছেন ভোজনরসিকরা। সড়কের পাশে নানা পদের ইফতার সামগ্রীর রমরমা বাজার। আর এখানকার ইফতার চেখে দেখতে নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ ছুটে আসছেন। উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্য ও নিম্নবিত্ত সবারই ভিড় এখানে।

ইফতার বিক্রেতা মো. মাহফুজ বলেন, প্রতি বছরের মতো রমজানে এবারও ইফতারে বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। ইফতার তৈরির পণ্যের দাম অনেক বেশি হলেও ইফতারির খাবারের দাম তেমন একটা বাড়ানো হয়নি।

মহানগরের পাইওনিয়র মহিলা কলেজের সামনে, ডাকবাংলো মোড়, সোনালী ব্যাংক চত্বর, ফেরিঘাট মোড়, পিকচার প্যালেস মোড়, পাওয়ার হাউজ মোড়, ময়লাপোতা মোড়, শিববাড়ি মোড়, পশ্চিম রূপসা ঘাট, শান্তিধাম মোড়, বৈকালী মোড়, বয়রা মোড়, নিরালা, গল্লামারী মোড়সহ প্রতিটি ব্যস্ততম সড়কের দুই পাশেই ইফতার সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বিক্রি করছেন মেীসুমি ব্যবসায়ীরা। অফিস ফেরত মানুষ এসব দোকানের ক্রেতা।

নগরীর সাত রাস্তার অপর পাশে বনফুল অ্যান্ড কোং তাদের দোকানের সামনে টেবিল পেতে বিক্রি করছে বাহারি ইফতারি। তাদের ইফতার মেনুতে রয়েছে ৩৫ রকমের খাবার। এর মধ্যে রয়েছে স্পেশাল ফিন্নি (প্রতি কেজি) ২২০টাকা, স্পেশাল ফিন্নি (৫০০ গ্রাম) ১১০ টাকা, কাপ ফিন্নি ২৫ টাকা, স্পেশাল শাহী জিলাপি (প্রতি কেজি) ১৭০ টাকা, স্পেশাল ক্রিসপি জিলাপি (প্রতি কেজি) ১৭০ টাকা, শাহী বাকরখানি (প্রতি পিচ) ১৫ টাকা, পাটি সাপ্টা পিঠা ১৬ টাকা, চিকেন সমুচা ১০ টাকা।

বনফুলের ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম বলেন, চমৎকার স্বাদের সব ইফতার আইটেম দিয়ে সাজানো তিন ধরনের ইফতারির প্যাকেজ পাওয়া যাচ্ছে বনফুলে। ইফতার প্যাকেজ-১ এ রয়েছে ৯টি আইটেম, যার মূল্য ১০০ টাকা। ইফতার প্যাকেজ-২ এ রয়েছে ১১টি আইটেম, যার মূল্য ১৪০ টাকা ও ইফতার প্যাকেজ-৩ এ রয়েছে ৯টি আইটেম, যার মূল্য ১৭০ টাকা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মহারাষ্ট্রে ১৭ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

টিভিতে আজকের খেলা

আজকের নামাজের সময়সূচি

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

ইতিহাসের এই দিনে যত স্মরণীয় ঘটনা

সুনামগঞ্জে নদীতে বালু উত্তোলনে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

খালাতো বোনের বিয়ে খেতে এলেন ছাত্রলীগ নেতা, অতঃপর...

পাল পাড়া মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত 

সরকারি বাঙলা কলেজে ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির আনন্দ মিছিল

দেশে ফিরে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ব্যারিস্টার রাজ্জাকের

১০

সারা দেশে জাহাজ ধর্মঘট

১১

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মারা গেছেন

১২

সাতক্ষীরায় ৩১ দফা বাস্তবায়নে বিএনপির আলোচনা সভা

১৩

পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সংঘাতের আগুনে পুড়ছে শিশুরা

১৪

ক্ষতিগ্রস্ত ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, কোথায় অফিস করবেন আসিফ মাহমুদরা?

১৫

ছোট ভাইয়ের বিয়েতে বর সেজে গেলেন বড় ভাই, অতঃপর...

১৬

সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে মাঝ সমুদ্রে জাহাজ বিকল

১৭

বিপিএল উত্তাপে আলোচনায় সাকিব

১৮

‘অপরাধীদের প্রতি কোনো ক্রমেই নমনীয় হবে না পুলিশ’

১৯

অপশক্তির প্ররোচনায় সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড, বাসার নিন্দা ও প্রতিবাদ

২০
X