হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১২ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের একটি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ওই বৈঠকে মিলিত হন।
প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
হেফাজতের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, বৈঠকে হেফাজতের নেতারা জোরালোভাবে দুটি দাবি উত্থাপন করেন। এর মধ্যে অন্যতম রমজান মাসের মধ্যেই নিঃশর্তভাবে মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি দিতে হবে। অন্যটি হলো ২০১৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
বৈঠকে উপস্থিত নেতারা জানান, হেফাজত নেতাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রমজানের মধ্যেই মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়তার সঙ্গে আশ্বাস দিয়েছেন এবং হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহারের ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
তারা সরকারের প্রতি সুস্পষ্ট বার্তা তুলে ধরে বলেন, ঈদুল ফিতরের আগে যদি মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে শীর্ষ নেতাদের পরামর্শক্রমে হেফাজত কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হবে।
ওই বৈঠকে হেফাজত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নায়েবে আমির মুফতি জসীমুদ্দীন, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আব্দুল আওয়াল, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা বশীরুল্লাহ প্রমুখ।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে মামুনুল হক ও তার কথিত স্ত্রীকে অবরুদ্ধ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। পরে খবর পয়ে পুলিশ গিয়ে ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেয়। ওই ঘটনার ১৫ দিন পর মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
মন্তব্য করুন