নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনাবিদ হিসেবে তথা পরিকল্পনা সম্পর্কিত কার্যক্রমে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)-এর বোর্ড মেম্বার মো. আবু নাইম সোহাগ বিআইপির ফেলো হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। শনিবার (৯ মার্চ) সংগঠনটির ১৬তম বোর্ডের ৩য় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে বিআইপির মেম্বারশিপসংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটি সোহাগের পরিকল্পনা কার্যক্রমে দক্ষতা, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ, সাংগঠনিক বোঝাপড়া ও নেতৃত্বের গুণাবলি বিবেচনায় নিয়ে তাকে সংগঠনটির ফেলো হিসেবে মনোনয়নের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রদান করে। সম্প্রতি ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভেলোপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি), ইউনাইটেড ন্যাশনস হিউম্যান স্যাটেলমেন্টস প্রোগ্রাম (ইউএন-হ্যাবিটেট), নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর (ইউডিডি), পরিকল্পনা কমিশন, ওয়াটার এইড, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ এনভাইরনমেন্ট নেটওয়ার্ক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার বিভিন্ন বার্ষিক সেমিনার, কংগ্রেস ও কর্মশালায় দক্ষতার সঙ্গে বিআইপির প্রতিনিধিত্ব করে তিনি মূল্যবান মতামত প্রদান করেছেন। পেশাগত জীবনে বর্তমানে মো. আবু নাইম সোহাগ খাঁন ব্রাদার্স কন্সট্রাকশনের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি সম্প্রতি আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট লেকচারার হিসেবে কিছু কিছু দায়িত্বপালন করছেন। গত নভেম্বর ২০২৩ এ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)-এর ১৬তম কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে তিনি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আবু নাইম সোহাগের বিআইপির ফেলোশিপ পাওয়াসংক্রান্ত বিষয়ে বিআইপির সভাপতি আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, আমি মনে করি আমাদের বোর্ডের সদস্য আবু নাইম সোহাগ ফেলো হওয়ার মাধ্যমে বিআইপির প্রতি তার নিষ্ঠা ও কর্মস্পৃহার স্বীকৃতি পেল। এই ফেলোশিপ অর্জন বিআইপির প্রতি তার আন্তরিকতাকে অধিকতর বৃদ্ধি করবে এবং একই সঙ্গে বিআইপির ক্রমবর্ধমান দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ সূচারুরূপে সম্পাদনে সোহাগকে সহায়তা করবে।
সভায় আবু নাইম সোহাগের পাশাপাশি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চিফ টাউন প্ল্যানার পরিকল্পনাবিদ মাকসুদ হাসেমকে ফেলোশিপ প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা পেশার অগ্রগতির জন্য এই প্রতিষ্ঠান দেশের পরিকল্পনাবিদদের জাতীয় পেশাদার সংস্থা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে, প্রতিষ্ঠানটি তার বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের শহর ও নগর অঞ্চলের পরিকল্পিত ও সুশৃঙ্খল উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
বিআইপি দেশের পরিবহন, পরিবেশসহ নগর এবং আঞ্চলিক/গ্রামীণ পরিকল্পনার বিভিন্ন দিক নিয়ে সেমিনার, কর্মশালার আয়োজন করে এবং জার্নাল প্রকাশ করে, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা সভার ব্যবস্থা করে এবং ভৌত পরিকল্পনা ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বিভিন্ন দিক সম্পর্কে নীতি-নির্ধারকদের পরামর্শ দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সদস্যরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিষয়ে অধ্যয়ন শেষে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন সংস্থায় পেশাদারত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন