বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবন গ্রিন কোজি কটেজে কাচ্চিভাইসহ বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ ও প্রতিষ্ঠানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীরভাবে ব্যথিত ও শোকাভিভূত।
বাংলাদেশের প্রায় পাঁচ হাজার পেশাজীবী অর্থনীতিবিদের একমাত্র সংগঠন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি হতাহত মানুষের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা ও শোক প্রকাশ করছে। একইসঙ্গে দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিবর্গের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছে।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম স্মাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ শোক জানানো হয়।
সমিতি মনে করে, শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রিয়জন হারানোর ক্ষতিপূরণ করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। তবে কাঠামোগত দুর্বলতায় সৃষ্ট এ ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনা ভবিষ্যতে এড়ানোর সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেওয়া হলে ভুক্তভোগী মানুষের মর্মবেদনা কিছুটা হলেও লাঘব করা সম্ভব হবে। বেইলি রোডের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ড ছাড়াও বিগত বেশ কয়েক বছরে বহু অগ্নিকাণ্ডে শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, যা রাষ্ট্র, সমাজ, অর্থনীতি ও ব্যক্তিজীবনে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি বয়ে এনেছে। গবেষণায় প্রমাণিত যে, হৃদয়বিদারক এ ধরনের বহু দুর্ঘটনা যথাযথ উদ্যোগের মাধ্যমে সহজেই প্রতিরোধযোগ্য।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির দৃঢ় বিশ্বাস, কিছু কার্যকরী উদ্যোগ ও প্রতিকার ব্যবস্থা এবং ব্যক্তি সচেতনতার মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের মতো মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানো সম্ভব। তবে এর জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে সম্মিলিত উদ্যোগ। একইসঙ্গে আইন ও তার প্রয়োগ ব্যবস্থায় যদি কোনো দুর্বলতা থেকে থাকে, তা দূর করা।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির কামনা, চরম মুনাফাকামী কতিপয় ব্যক্তির অর্থলিপ্সার কারণে রাষ্ট্র, সরকার ও সমাজের ভাবমূর্তি ভবিষ্যতে আর যাতে ক্ষুণ্ণ না হয় এবং মনুষ্য-গাফিলতিতে শিকার হয়ে প্রাণ হারানো মানুষের শোকসন্তপ্ত পরিবারকে যেন আর অসহনীয় দুঃখ-কষ্ট ভোগ করতে না হয়। এ জন্য সরকারি সংস্থাসমূহ অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ক্ষেত্রে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে সমিতি আশা রাখে।
মন্তব্য করুন