মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, সব শহীদ ও মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সারা দেশে একই ডিজাইনের নির্মাণ করা হবে। যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শত বছর পরও কবর দেখেই চিনতে পারে এটা বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর। একই সঙ্গে বাংলাদেশের রাস্তাঘাট ব্রিজ কালভার্ট ও প্রতিষ্ঠানের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
শনিবার (২ মার্চ) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঢাকা জেলা ও মহানগর ইউনিট কমান্ড আয়োজিত সংবর্ধনা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখন ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এ ছাড়া অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার বীর নিবাস নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর এ দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা ভয়ে কথা বলতে পারত না। অনেকে তাদের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে যে সমস্ত প্রমাণাদি ছিল তা পুড়ে ফেলেছেন, মাটিতে পুঁতে রেখেছেন, অনেকে লুকিয়ে রেখেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা আজকের সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা পুনরায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে লড়াই সংগ্রাম শুরু করলে বাঙালি জাতি আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের গ্লানি স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিরা এখনো ভুলে যায়নি তারা এখনো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাই সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এক হয়ে তাদের এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দিতে হবে।
সাবেক কমান্ডার ঢাকা জেলা ইউনিট কমান্ড বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবু সাঈদ মিয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদির গামা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. আব্দুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার অব. মাহামুদুল হক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ঢাকা মহানগর ইউনিট কমান্ড বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহাবুদ্দিন বক্তৃতা দেন।
মন্তব্য করুন