পরিচয় সংক্রান্ত বিতর্কের কারণে সংবাদকর্মী বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পরবর্তী তার পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। তবে এখনই তার মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে মর্গ কর্তৃপক্ষ।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর পর অভিশ্রুতির ধর্ম পরিচয় নিয়ে বিতর্ক ওঠে। এই বিতর্কের কারণে ঢাকা জেলা প্রশাসন এখনো অভিশ্রুতির লাশ কারও কাছে হস্তান্তর করেনি।
এর আগে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. মো. তরিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত অভিশ্রুতির লাশ এখনো আমাদের ইনস্টিটিউটের ডিপ ফ্রিজারে রয়েছে। পরিচয় সংক্রান্ত জটিলতায় জেলা প্রশাসন লাশটি হস্তান্তর করেনি।
রমনা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক এসআই আমেনা খাতুন জানিয়েছেন, আমরা তার জাতীয় পরিচয় পত্রে পেয়েছি বৃষ্টি খাতুন এবং আমরা জানতে পেরেছি তার অন্য একটি নাম আছে, সেটি অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। এ কারণে আমরা তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করিয়েছি এবং তার পরিবারের কাছে এখন পর্যন্ত মরদেহ হস্তান্তর করতে পারিনি।
তিনি বলেন, বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় নিহতের পরিচয় শনাক্তে তার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের পর তার পরিবারের সঙ্গে ম্যাচ করলেই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
মন্তব্য করুন