রাজধানীর বেইলি রোডের আটতলা ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ ভবন। পরিচিত এই ভবনে রেস্তোরাঁ ছিল বেশ কয়েকটি। এ কারণেই হয়তো সন্ধ্যা হলেই বিভিন্ন লাইটে স্বজ্জিত হয়ে উঠে ভবনটি। ঘটনার দিনও এর ব্যতয় ঘটেনি।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর লোকজনের ভিড় পড়ে যায় ভবনটিতে। কেউ আসে খেতে আবার কেউ আসে অন্য কোনো কাজে। কিন্তু তারা কি জানতো একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়তে যাচ্ছে তারা, জানতো না।
সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হতেই ঘটে সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। যে ঘটনা ছিনিয়ে নিলো নারী-শিশুসহ অন্তত ৪৬ প্রাণ। রেখে গেল ভয়ংকর কিছু স্মৃতি। যা নিয়ে আজকের কালবেলার যত আয়োজন-
পরিবারের সবাই পুড়ল, পুড়ল ইতালি যাওয়ার স্বপ্নও
সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার (৫০) ১৫ বছর ধরে ইতালিতে ব্যবসা করতেন। স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে সেখানে স্থায়ী হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। তিন সন্তান নিয়ে মোবারকের স্ত্রী রাজধানীর মধুবাগে থাকতেন। গত ৩০ জানুয়ারি দেশে ফিরে সব কাগজপত্র ঠিক করেছিলেন মোবারক। আগামী ২২ মার্চ স্ত্রী, সন্তান নিয়ে ইতালি যাওয়ার কথা ছিল। বিদেশযাত্রার আগে শুক্রবার বৃদ্ধা মা ও স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে গ্রামে যাওয়ার কথা ছিল। আগামীকাল রোববার ঢাকার বাসায়ও বন্ধু-স্বজনদের নিয়ে মিলনমেলার আয়োজন ছিল। এতদিন পর ছেলে গ্রামে ফিরবে বলে বাড়িতে চলছিল পছন্দের খাবার তৈরির আয়োজন। গ্রামে যাওয়ার আগের রাতে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে শখ করে খেতে গিয়েছিলেন বাসার কাছের বেইলি রোডে। সেখানে দগ্ধ হয়ে সবাই প্রাণ হারালেন তারা। বিস্তারিত লিংকে...
মাকে ফোন করে রকি বলেছিলেন ‘আম্মু আমারে বাঁচাও’
দুই মাস আগে কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় চাকরি নিয়েছিলেন কামরুল হাবিব রকি। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে ওই রেস্তোরাঁয় আগুন লাগলে অন্যদের সঙ্গে ভেতরে আটকা পড়েন তিনিও। দাউদাউ আগুন দেখে মায়ের কাছে ফোন করে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলেন একুশ বছরের এই তরুণ। কিন্তু বেঁচে ফেরা হয়নি তার! বিস্তারিত লিংকে...
আ.লীগ নেতা শামীম যান কফি খেতে
রাজধানীর বেইলি রোডে বৃহস্পতিবার রাতে বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম। এক নিকটাত্মীয়কে নিয়ে রেস্তোরাঁয় কফি খেতে গিয়েছিলেন তিনি। বিস্তারিত লিংকে...
আর কখনো মা ডাকবে না তুষার
রাজধানীর বেইলি রোডে ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার তুষার হালদারের মৃত্যু হয়। তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে (ডিআইইউ) সদ্য স্নাতক পাস করেছেন। তার বাড়ি শৌলজালিয়ার তালগাছিয়া গ্রামে। বিস্তারিত লিংকে...
দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে জানান লাকী
মেয়ে জান্নাতিন তাজরী নিকিতাকে নিয়ে ‘কাচ্ছি ভাই’-এ খেতে গিয়েছিলেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল প্রভাতি শাখার সিনিয়র শিক্ষক লুৎফুন নাহার করিম লাকী। রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে আগুন লাগার পর পরিবারের কাছে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন লাকী। জানিয়েছিলেন, ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে আসছে। বাঁচাতে আকুতি জানিয়েছিলেন তারা। কিন্তু তাদের বাঁচানো যায়নি। বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে মারা গেছেন লাকী ও তার মেয়ে নিকিতা। বিস্তারিত লিংকে...
নিথর দেহে ফিরলেন এশা
ছেলেকে নিয়ে কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় খেতে এসেছিলেন তানজিনা নওরিন এশা (৩২)। সঙ্গে ছিলেন খালাতো ভাইয়ের স্ত্রী লামিয়া ইসলাম ও তার দুই সন্তান। আগুন লাগার পর ছেলে আরহামসহ অন্যদের আগে বের করে দেন এশা। তাদের পেছনেই ছিলেন তিনি। লামিয়া অন্যদের নিয়ে বের হতে পারলেও এশা পারেননি। কারণ হঠাৎ বিস্ফোরণে পথ হারান তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার লাশ শনাক্ত করেন স্বজনরা। বিস্তারিত লিংকে...
বিশ্ব গণমাধ্যমে বেইলি রোডের আগুন
রাজধানীর বেইলি রোডে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৬ জন নিহত হন। অগ্নি দুর্ঘটনার খবরটি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে স্থান পেয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও। গতকাল শুক্রবার দি ইনডিপেন্ডেন্ট, ভয়েস অব আমেরিকা, এবিসি নিউজ, দ্য ন্যাশনাল, স্কাই নিউজ, সিবিএস নিউজ, দ্য গার্ডিয়ান, আরব নিউজ, নিউইয়র্ক টাইমস, এবিপি নিউজ, আউটলুক ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দু, টাইমস অব ইন্ডিয়া, রয়টার্স, এনডিটিভি, ডয়চে ভেলে, নিউইয়র্ক পোস্ট, গালফ নিউজ, দ্য সানসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এই অগ্নিকাণ্ডের খবর প্রকাশিত হয়। বিস্তারিত লিংকে...
একমাত্র কর্মক্ষম ছেলেকে হারিয়ে নির্বাক মা-বাবা
অর্থাভাবে বেশিদূর পড়াশোনা করতে না পারা মানুষটির আয়ে জুটত আট সদস্যের পরিবারের আহার। সেই মানুষটিই বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের আগুনে মারা গেছেন। একমাত্র কর্মক্ষম মানুষটির মৃত্যুতে দিশেহারা পুরো পরিবার। বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা। শোকে মুহ্যমান বাবা। বিস্তারিত লিংকে...
খবরের মানুষ হয়েও হলেন শিরোনাম
সংবাদ সংগ্রহের জন্য ছুটে বেড়ানোই তাদের কাজ। যেখানেই সংবাদ, সেখানেই তারা। মানুষকে সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য দিনরাত তাদের ছুটোছুটি। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ তারাই সংবাদের শিরোনাম। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে পুড়ে মারা যাওয়া এ দুই সংবাদকর্মী হলেন তুষার হাওলাদার এবং অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। আজ তাদের নিয়েই সবার আগ্রহ। বিস্তারিত লিংকে...
আবিয়াতের লাশ পড়ে ছিল সিঁড়িতে, মর্গে মিলেছে মা-ভাইয়ের
রাজধানীর বেইলি রোডের সাততলা ভবনটিতে দুই শিশুসন্তানসহ খাবার খেতে গিয়েছিলেন নাজিয়া আহমেদ নামে এক নারী। ভবনে আগুনের খবরে শুরু হয় ছোটাছুটি, দুই সন্তানসহ তিনিও ছুটছিলেন। একসময় হাতছাড়া হয়ে যায় তিন বছরের আবিয়াত। নাজিয়া তার স্বামী সায়েক আহমেদ আশিককে ফোন করে জানিয়ে ছিলেন, ভবনে আগুন লেগেছে। ভিড়ে ছোট ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেন না। এরপর আর তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। পরে ফায়ার সার্ভিস আবিয়াতের মরদেহ পায় তৃতীয় তলার সিঁড়িতে। আগুনে মারা যান নাজিয়া ও তার বড় সন্তান আরহান আহমেদও। বিস্তারিত লিংকে...
শিশুর মৃতদেহ নয় যেন বিবর্ণ পুতুল
ঝুঁটি বাঁধা চুল, পায়ে লাল-বেগুনি রঙের মিশ্রণের মোজা। বাঁ পায়ের মোজাটি একটু খুলে গেছে। পরনে ধূসর রঙের হাফ হাতা গেঞ্জি আর নীল পায়জামা। পুরো শরীরে তেমন ময়লা নেই। মুখে স্বল্প পরিমাণ ছাই লাগানো। প্রথম নজরে মনে হবে দুরন্ত কোনো শিশু দীর্ঘসময় পুরোদস্তুর দুষ্টমি শেষে ক্লান্ত দেহে ঘুমিয়ে পড়েছে। অথবা দীর্ঘদিন খেলা শেষে আধপুরোনো বিবর্ণ পুতুল অযত্নে ফেলে রাখা হয়েছে মেঝেতে। আদতে এর কিছুই নয়। মাত্র আড়াই বছরের মৃত এই ফুটফুটে শিশুটির পরিচয় অবশেষে পাওয়া গেছে। খোঁজ মিলেছে তাদের স্বজনের। বিস্তারিত লিংকে...
বেড়াতে এসে লাশ হলেন প্রিয়তি
কানাডা প্রবাসী বোন দেশে এসেছেন। তাই ঢাকায় বোনের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী জারিন তাসনীম প্রিয়তি (২০)। বৃহস্পতিবার রাতে বোন-ভাগনির সঙ্গে খেতে গিয়েছিলেন রেস্তোরাঁয়। শুক্রবার সকালে মুন্সীগঞ্জে বাড়িতে ফেরার কথা ছিল তার। প্রিয়তি বাড়ি ফিরেছেন ঠিকই, তবে লাশ হয়ে! বিস্তারিত লিংকে...
মন্তব্য করুন