সাহসিকতা ও প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ মো. জসীম উদ্দিনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ পদকে ভূষিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে জাতীয় পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাকে এ পদকে ভূষিত করা হয়।
মো. জসীম উদ্দিন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে সহকারী পুলিশ সুপার পদে যোগদান করেন। তিনি ডিএমপির সিটিটিসির ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে যোগদান করে নিম্নলিখিত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম সম্পাদন করেছেন:
চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদ্ঘাটন:
১. মানব পাচার সংক্রান্ত মামলায় আসামি গ্রেপ্তার : ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা রুজু হলে মূল আসামি আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদারকে তার দিকনির্দেশনায় একাধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ২০২৩ সালের ৮ জুন গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। ওই আসামি একজন আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য ও মানব পাচারের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহৃত দেশ লিবিয়ার ‘লিবিয়ার গেইমঘর’ নামক নির্যাতন সেলের অন্যতম প্রধান মাফিয়া।
ওই আসামির বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আসামির তথ্য অনুযায়ী ‘লিবিয়ার গেইমঘর’ নামক নির্যাতন সেলের প্রধান হলেন মো. শরীফ যিনি আন্তর্জাতিক মাফিয়া শরীফ নামে পরিচিত। এই আন্তর্জাতিক মাফিয়া শরীফ হোসেনের ‘লিবিয়ার গেইমঘর’ নামক নির্যাতন সেল থেকে ৩ জন বাংলাদেশি ভিকটিমকে তার সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় উদ্ধারপূর্বক নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করা হয়।
২. আমেরিকান নাগরিককে (কিশোরী) ব্ল্যাকমেইল এবং আসামি গ্রেপ্তার : গ্রেপ্তারকৃত আসামি মো. সামির (১৯) আমেরিকান নাগরিক ভিকটিম ১৩ বছর বয়সী কিশোরীর সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ে তুলে। বন্ধুত্বের একপর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে আসামি ভিকটিমের কাছ থেকে অশ্লীল/নুড ছবি সংগ্রহ করে এবং ওয়েবক্যামের সামনে ভিকটিমকে বিবস্ত্র অবস্থায় আসার আহ্বান করে। একপর্যায়ে ভিকটিমকে চাইল্ড পর্নোগ্রাফির জন্য আহ্বান করে। পরবর্তীতে আসামি ভিকটিমকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে। আমেরিকান দূতাবাস থেকে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিএমপিকে অনুরোধ করে। তার সার্বিক দিকনির্দেশনায় ওই ঘটনায় জড়িত আসামিকে শনাক্তপূর্বক গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। এ সংক্রান্তে গুলশান থানায় ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু হয়।
মন্তব্য করুন