সাহসকিতা ও প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতস্বিরূপ মো. জিয়াউল আহসান তালুকদারকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ পদকে ভূষিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে জাতীয় পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাকে এ পদকে ভূষিত করা হয়।
জিয়াউল আহসান তালুকদার ২০০৫ সালে ২ জুলাই সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন।
২০২২ সালের ২২ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারী বিভাগে যোগদানের পর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি নিম্নলিখিত উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ড সম্পাদন করেছেন।
ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তার (ক) ২০২৩ সালে ১৩ মার্চ ডেমরা থানাধীন আমুলিয়া মডেল টাউনের ফাঁকা জায়গায় ভিকটিম মিরাজ হোসেনের লাশ (গলায় গামছা পেঁচানো) পাওয়া গেলে মৃতের বড় ভাই সেলিম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা করেন। তার নির্দেশনায় অতি দ্রুত ঘটনার মূল রহস্য (রিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে হত্যা) উদ্ঘাটনসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামি চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার ও ছিনতাইকৃত রিকশা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় এবং দুজন আসামি বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এ সংক্রান্তে ডেমরা থানায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
(খ) ২৩ সালের ৩ এপ্রিল ডেমরা থানাধীন আমুলিয়া মডেল টাউনে অজ্ঞাতনামা পুরুষের লাশ (গলায় গামছা পেঁচানো) পাওয়া গেলে ডেমরা থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেন। তার নির্দেশনায় অতি দ্রুত সময়ে মৃত দেহের পরিচয় শনাক্ত, ঘটনার মূল রহস্য (রিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে হত্যা) উদ্ঘাটনসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার ও ছিনতাইকৃত রিকশা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ওই ঘটনায় দুজন আসামি বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এ সংক্রান্তে ডেমরা থানায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
(গ) ২০২৩ সালের ১২ জুন ডেমরা থানাধীন মহাকাশ রোডে কালভার্টের নিচে অজ্ঞাতনামা পুরুষের লাশ (গলায় গামছা পেঁচানো, উলঙ্গ ও অর্ধগলিত) পাওয়া গেলে ডেমরা থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেন। ডেমরা থানা পুলিশ অতি দ্রুত সময়ে মামলার মূল রহস্য (রিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে হত্যা) উদ্ঘাটন ও অপরাধীদের শনাক্ত করে চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। দুজন আসামি বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এ সংক্রান্তে ডেমরা থানায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন