সরকারি প্রতিষ্ঠানে গত ৫ বছরে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ২৩৭ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী জানান, ২০১৯-২০২৩ মেয়াদে সব সরকারি প্রতিষ্ঠান ৩ লাখ ৫৮ হাজার ২৩৭টি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত ৫ বছরে শুধু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০ হাজার ২৬৪ জন নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ চট্টগ্রাম থেকে ১ হাজার ৩৪১ জন, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঢাকায় ১ হাজার ২৩৫, সর্বনিম্ন বান্দরবান থেকে ৩৪ জন, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রীর জেলা মেহেরপুর থেকে ৬৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি বাড়াতে রাষ্ট্রপতি উদ্যোগ নেবেন
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিচারপতি নিয়োগের জন্য সংবিধানে একটি আইন করার কথা বলা আছে। চলতি সংসদে বিচারপতি নিয়োগের জন্য আইন আনা হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, আপিল বিভাগে ৭ জন বিচারপতি থাকতে হবে, সংবিধানে এমন কোনো বিধান নেই। আগে ১১ জন বিচারপতিও ছিলেন। খুব শিগগিরই আপিল বিভাগে বিচারপতি নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি উদ্যোগ নেবেন। একইভাবে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি বাড়ানোর বিষয়েও রাষ্ট্রপতি উদ্যোগ নেবেন বলে তিনি আশা করেন।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালানের জন্য বিচারকের নতুন পদ সৃজনে বর্তমান সরকার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকারের আন্তরিক উদ্যোগের কারণেই অধস্তন আদালতে বিভিন্ন পদমর্যাদার ২৫৯ টি বিচারকের পদ সৃজন করা হয়েছে। আদালতসমূহ যাতে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে সেজন্য ১ হাজার ৯৯৯টি সহায়ক পদ সৃজন করা হয়েছে। অপরদিকে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে চারদলীয় বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে মাত্র ২৫টি বিচারকের পদ এবং ১৩৩টি সহায়ক জনবলের পদ সৃজন করা হয়। লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ভাড়াটিয়াদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত এবং বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের মধ্যে সংঘাত নিরসনের জন্য ‘বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯১’ বর্তমানে বিদ্যমান রয়েছে। এ অবস্থায় বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত নতুন কোনো আইন প্রণয়ন করার পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। তবে প্রয়োজনে বিদ্যমান আইনের বিধানসমূহ পর্যালোচনা করা হবে।
দেশে নিবন্ধিত জেলে ১৮ লাখ ৩৪১৮ জন গাইবান্ধা-৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতির প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমান বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরাধীন প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মহাখালী থেকে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির ১৫টি মারাত্মক সংক্রামক রোগের ১৭ ধরনের টিকা উৎপাদন করুণা হয়ে থাকে। এসব টিকা প্রান্তিক খামারিদের মাঝে সরকার নির্ধারিত ভর্তুকি মূল্যে বিতরণ করা হয়ে থাকে। সরকার টিকার সহজলভ্যতা অর্জনে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩২ কোটি ৮৬ লাখ ৭৪ হাজার ডোজ গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির টিকা উৎপাদন করে বিশেষ করে প্রান্তিক খামারিদের মাঝে বিতরণ করেছে।
বাগেরহাট-৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ এইচ এম বদিউজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী জানান, উপকূলীয় এলাকার জেলেসহ সারা দেশে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৮ লাখ ৩ হাজার ৪১৮ জন। এর মধ্যে ১৪ লাখ ২০ আইডি কার্ড প্রদান করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন