কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঢাবি শিক্ষকের ঘটনায় আশরাফুল আলম খোকনের ফেসবুক স্ট্যাটাস

আশরাফুল আলম খোকন ও নাদির জুনাইদ। পুরোনো ছবি
আশরাফুল আলম খোকন ও নাদির জুনাইদ। পুরোনো ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির। যা নিয়ে ক্লাস বর্জনসহ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

পরবর্তীতে এ ঘটনায় নাদির জুনাইদকে ৩ মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতেও পাঠানো হয়। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবুল মনসুরের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

নাদির জুনাইদের এ ঘটনা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। কথা বলেছেন পক্ষে ও বিপক্ষে। এবার এ বিষয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপ-প্রেস সচিব ও সাংবাদিক আশরাফুল আলম খোকন।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ‘যৌন নিপীড়ক, নাকি শিক্ষকদের নোংরামি’ শিরোনামে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে মূলত দুটি অভিযোগ। এক. একটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কম নম্বর দেওয়া, দ্বিতীয়. শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ণের অভিযোগ।

সবকিছু ছাপিয়ে ‘যৌন নিপীড়ক’ শব্দটিই বেশি আলোচিত হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণের আগেই তার বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়াল করা হয়েছে। যা, একেবারেই অন্যায়। আরও অন্যায় হচ্ছে, এই ট্রায়ালের সঙ্গে জড়িত বিভাগেরই কিছু শিক্ষক, যা তাদের ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখেই অনুমান করা যায়।

এই কতিপয় শিক্ষকের কীসের এত ক্ষোভ নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে? কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগের প্রথম আন্দোলনটি ধোপে টিকেনি। কারণ পরীক্ষা কমিটিতে চারজন পরীক্ষক থাকেন, এককভাবে কারও কিছু করার নেই। সুতরাং দায়ী থাকলে চারজনই দায়ী হবেন। আর, পরীক্ষা কমিটিতে কারা কারা থাকেন, এটা খুবই গোপনীয় বিষয়, শিক্ষার্থীরা জানল কীভাবে? কে, কি উদ্দেশ্যে তাদের জানিয়ে দিল?

যৌন নিপীড়নের অভিযোগকারী শিক্ষার্থী এক দিনের ব্যবধানেই দুই রকম কথা বলেছেন। প্রথমে বলেছেন, তাকে শারীরিকভাবে যৌন নিপীড়ন করা হয়েছে। পরেরদিন আবার বলেছেন, মৌখিকভাবে করেছে। কিন্তু অভিযোগের দুই দিন আগেও নাদির জুনাইদকে দেওয়া এই শিক্ষার্থীর কিছু এসএমএস দেখে মনে হয়েছে, তাদের মধ্যকার সম্পর্ক খুবই আন্তরিক।সেখানে, নিপীড়নমূলক কোনোরকম শব্দ নেই। কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষক দাবি করতে পারেন, শিক্ষার্থী তাকে উসকাচ্ছে।

এরপরও কেন মিডিয়াতে নাদির জুনাইদ ‘যৌন নিপীড়ক’ হয়ে উঠলেন। বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে থেকেই, এর কারণ হিসাবে দুটি বিষয় পাওয়া গেছে। বিভাগের সভায় নাদির জুনাইদ প্রায়ই বলতেন-

এক. কিছু শিক্ষক আছেন, যারা কোনো একাডেমিক নিয়মনীতি মানেন না, তাই তিনি চেয়ারম্যান হলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কথা বলতেন।

দুই. তিনি বলেছিলেন, বিভাগের ‘আর্থিক অডিট’ ছাড়া তিনি চেয়ারম্যানের পদে অধিষ্ঠিত হবেন না।

শৃঙ্খলা ও আর্থিক অডিটের কথা কেন তিনি বারবার বলতেন? তিনি কি সত্যিই যৌন নিপীড়ক, নাকি তাকে যৌন নিপীড়ক বানানোর ক্ষেত্রে উপরোক্ত দুটি হুমকি ভূমিকা রেখেছে, তাও খতিয়ে দেখা উচিত। আর তিন মাস পরেই তার বিভাগের চেয়ারম্যান হবার কথা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পূজায় বুড়িমারীতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ৬ দিন

প্রতি সপ্তাহে সহায়তা দেবে জুলাই ফাউন্ডেশন : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

আন্দোলনে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি, সেই যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে যমুনা গ্রুপ

জনবল নেবে স্যামসাং বয়সসীমা  ২১ থেকে ২৮ বছর 

বায়ুদূষণে শীর্ষে হ্যানয়, ঢাকার খবর কী

সুস্থ থাকতে ভাত নাকি রুটি, কী বলছেন চিকিৎসক

লিটনের শরীরে ৫ শতাধিক বুলেট

সপ্তম রাউন্ডে জমে উঠেছে প্রিমিয়ার লিগের লড়াই

পাচারের টাকায় আমিরাতে মিনি সিটি নিয়ে আসিফের স্ট্যাটাস

১০

শেরপুরে ভয়াবহ বন্যায় ৭ জনের মৃত্যু

১১

তিন বিভাগে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস গবেষকের

১২

সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ জ্যোতির

১৩

১৩ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

১৪

ভারতীয় দলে আচমকা পরিবর্তন

১৫

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

১৬

৮ বিভাগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস

১৭

৬ অক্টোবর : নামাজের সময়সূচি

১৮

কুমির ভেবে ঘড়িয়াল বেঁধে রাখলেন স্থানীয়রা

১৯

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

২০
X