শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিদেশ ভ্রমণে যেতে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই প্রেক্ষাপটে ফের ড. ইউনূস প্রসঙ্গে আলোচনা হয় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি, স্থানীয় সময়) ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, ড. ইউনূসের জন্য ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করব, এটাই আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) আশা করি। কারণ, (শ্রম আইন লঙ্ঘনের এই মামলায়) আপিল প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
বেদান্ত প্যাটেলকে করা প্রশ্নে বলা হয়, নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেছেন বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠীর আরেক ব্যক্তি। আদালতের আরেকটি আদেশে তার বিদেশ ভ্রমণের ক্ষমতা সীমিত করছে সরকার। ১২৫ জন নোবেলজয়ীসহ ২৪৩ জন বিশ্বনেতাদের একটি জোট মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারিক হয়রানির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেনেটর ডিক ডারবিনের নেতৃত্বে ১২ জন দ্বিদলীয় মার্কিন সিনেটর সব হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে স্টেট ডিপার্টমেন্ট কীভাবে দেখছে?
ওই প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র আরও বলেন, অন্যান্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) উদ্বেগ প্রকাশ করছি যে, ড. ইউনূসকে ভয় দেখানোর উপায় হিসেবে এই মামলাগুলো বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।
এর আগে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ বলেছিলেন, মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যবিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, যা তার নোবেল শান্তি পুরস্কার এবং অন্যান্য অনেক আন্তর্জাতিক সম্মানে প্রতিফলিত হয়েছে। আমরা তার বিরুদ্ধে মামলাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা অবশ্যই রায়ের ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনা দেখেছি। আমাদের পক্ষ থেকে, আমরা বাংলাদেশ সরকারকে একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য উৎসাহিত করেছি।
মন্তব্য করুন