ক্যান্সারের প্রধান কারণ ধূমপান ও পান-জর্দার ব্যবহার। ক্যান্সার রোগী বাড়ার পেছনে রয়েছে তামাক কোম্পানীর হাত। তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকার দেশে আইন ও সহায়ক নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও কোম্পানীগুলো প্রতিনিয়ত আইন লঙ্ঘন করে তামাক ব্যবহারে জনগনকে উৎসাহ করে চলেছে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অবস্থান কর্মসূচি শেষে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের একটি প্রতিনিধিদল জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের নবনিযুক্ত সমন্বয়কারী (যুগ্ম সচিব) মো. আখতারউজ-জামানের সাথে স্বাক্ষাৎ করেন। এ সময় তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ থেকে নীতি সুরক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি দ্রুত ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ সংশোধনের অনুরোধ জানান তারা।
এছাড়াও প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে আইন লঙ্ঘনকারী তামাক কোম্পানীগুলোকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার পাশাপাশি তামাক চাষ সংক্রান্ত নীতি চুড়ান্ত করার বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়। জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী প্রতিনিধিদলকে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে তার আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে বলে আশ্বাস ব্যক্ত করেন। এ সময় জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের প্রোগ্রাম অফিসার ডা. মো. ফরহাদুর রেজা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের প্রতিনিধিদলে আরও উপস্থিত ছিলেন জোটের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী ও প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল হেলাল আহমেদ, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমান, এইড ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আবু নাসের অনিক, অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর প্রজেক্ট ম্যানেজার হামিদুল ইসলাম হিল্লোল, নাটাবের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ, টিসিআরসির প্রজেক্ট ম্যানেজার ফারহানা জামান লিজা, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটির পার্টনারশীপ এন্ড নেটওয়াকিং ম্যানেজার আলী আজমান, ডাসের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল হাসান সজীব এবং নেটওয়ার্ক কর্মকর্তা আজিম খান।
মন্তব্য করুন