দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে শামসুল হক টুকুকে ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে চলা সংসদের প্রথম অধিবেশনে সর্বম্মতিক্রমে এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি নির্বাচিত হন। এর আগে শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে শিরীন শারমিন চৌধুরীকে স্পিকার হিসেবে নির্বাচন করা হয়।
সরকারি দলের এমপি এবি তাজুল ইসলাম ডেপুটি স্পিকার হিসেবে শামসুল হক টুটুকে নির্বাচনের জন্য নাম প্রস্তাব করেন। সরকার দলের অপর এক এমপি মকবুল হোসেন ওই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন। পরে অন্য কোনো মনোনীত প্রার্থী না থাকায় স্পিকার কণ্ঠভোটের মাধ্যমে ডেপুটি স্পিকারকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। মাগরিবের নামাজের বিরতিতে নতুন ডেপুটি স্পিকারকে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন শপথ পড়ান।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনয়ন: এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের জন্য ৫ সদস্যকে সভাপতিমণ্ডলী নির্বাচন করা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রথম অধিবেশন শুরুর পর নতুন স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। এ সময় তিনি এই অধিবেশনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন। তারা হলেন- ক্যাপ্টেন (অব) এবি তাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, আ ফ ম রুহুল হক, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও উম্মে কুলসুম স্মৃতি। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে নামের অগ্রবর্তিতা অনুসারে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা সংসদের বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন।
এরপর শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শোক প্রস্তাবটি পেশ করেন। শোক প্রস্তাবে কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল আহমদ আল জাবের আল সাবাহর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া শোক প্রস্তাবে সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী জিনাতুন নেসা তালুকদার, সাবেক সংসদ সদস্য ড. মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীসহ বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়। পরে প্রস্তাবটি গৃহিত হয় এবং সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হুসামুদ্দিন আহমেদ।
মন্তব্য করুন