পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থা অত্যন্ত স্বাধীন, শ্রমিক-কর্মচারীরাই ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তিনি বলেন, 'ওয়াশিংটন পোস্টে নিউজ নয়, সেখানে একটি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। কোনো অফিস ফার্মের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন আকারে ছাপা হয়েছে।'
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় ড. ইউনূসকে নিয়ে প্রকাশিত একটি বিবৃতি নিয়ে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ১৪টি দেশের অনিবাসী রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারবৃন্দ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ রকম বিজ্ঞাপন আগেও ছাপানো হয়েছে। তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবের প্রতি যথাযথ সম্মান এবং শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, বাংলাদেশে বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ বিধায় সরকারি দলের অনেককে বিচারের সম্মুখীন হতে হয়, জেলেও যায় এবং ইউনূস সাহেবের এই মামলায় সরকার কোনো পক্ষ না। ড. ইউনূস সাহেবের প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীরা বলছে তারাই তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে এবং অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় রায় হয়েছে। এখানে সরকার কোনো পক্ষ নয়।
অনিবাসী রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। কেউ কেউ ১০ বছর আগে এখানে এসেছিল, দু’একজন বলেছেন, তিনি ১২ বছর আগে এখানে এসেছিলেন আবার ২০২০ সালেও এসেছিলেন। তারা বলেন, আগের এবং আজকের মধ্যে অনেক পার্থক্য, বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে। প্রত্যেকটা দেশই বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক এগিয়ে নিতে এবং অনেকেই বিনিয়োগ বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কয়েকটি দেশ আমাদের দক্ষ জনশক্তি আমদানির আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। আফ্রিকায় কৃষি খাতেও এই সুযোগ রয়েছে।
বোতসোয়ানা, কম্বোডিয়া, চেক রিপাবলিক, গাম্বিয়া, হাঙ্গেরি, জ্যামাইকা, লুক্সেমবার্গ, মংগোলিয়া, নর্থ মেসিডোনিয়া, পেরু, স্লোভাক রিপাবলিক, স্লোভেনিয়া, উরুগুয়ে ও ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারবৃন্দ সৌজন্য সাক্ষাতে যোগ দেন। সাক্ষাৎ শেষে তাদের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন