অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক দলের সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণে পরিষ্কারভাবে ওঠে এসেছে এই নির্বাচন কতটা অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে বাঙালি জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। জনগণ ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবারও নির্বাচিত করেছে। যদিও তথাকথিত বিরোধী দল নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার চেষ্টায় ছিল না, তারা চেয়েছিলেন বিদেশি শক্তির সহায়তায় ক্ষমতায় আসতে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) আয়োজিত ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী প্রধান অতিথির আলোচনায় বলেন, গত ৭ জানুয়ারি ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় নতুন করে গতি সঞ্চার হয়েছে। এবারের সংসদ নির্বাচন খুবই সুন্দর ও নিরপেক্ষ হয়েছে। এদেশের মানুষ এই রকম নির্বাচনই দেখতে চেয়েছিলেন। বিরোধী দলের সহিংসমূলক কর্মকাণ্ডে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে কিছু মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাননি বলে কিছু ভোট কেন্দ্রে ভোটারের কম উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। এমন কিছু কেন্দ্র ছিল যেখানে প্রায় ৭০/৮০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ছিল। সেখানে খুব উৎসাহ উদ্দীপনায় ভোট কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভোটের সন্ত্রাস এদেশে প্রচলন করেছে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দল। যখন কেউ তার কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষিতে নির্বাচনে হেরে যান তখন তার কাছে নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। বঙ্গবন্ধু ভোটে অংশগ্রহণের পক্ষে ছিলেন, তাই সামরিক শক্তির অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়লাভ করেছে। আমাদের তথাকথিত বিরোধী দল নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার চেষ্টায় ছিল না, তারা চেয়েছিলেন বিদেশি শক্তির সহায়তায় ক্ষমতায় আসতে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে উপস্থিত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, বিরোধী দল বিএনপি যড়যন্ত্র করে নির্বাচন বর্জন করে। তারা মূলত নির্বাচন নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্র করেছিল। সেজন্য তারা ট্রেনে অগ্নিসংযোগসহ মানুষ হত্যায় লিপ্ত হয়েছে। মানুষ এই রাজনীতি চায় না। দেশের মানুষ ভোট দিয়ে তাদের পরাজিত করে, গণতন্ত্র কে জয় করেছে। এই নির্বাচনে যারা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনকে ধারন করেন তাদের বিজয় হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা বাংলাদেশের অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। চীন রাশিয়া, ইইউ, ইউএনসহ অনেক দেশ ও আন্তর্জাতিক জোট, সংগঠন বাংলাদেশের নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছেন। পিটার হাস জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে চান। এই নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য নারী প্রার্থী অংশগ্রহণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর সদস্য ও ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। সঞ্চালনা করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর দে।
এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও ইআরডিএফবি এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন