সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সমাজের মূলস্রোতে থাকা মানুষের সংখ্যা পিছিয়ে পড়া মানুষের থেকে বেশি। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করলে একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করা সম্ভব। বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে সবাইকে কাজ করতে হবে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ সমাজসেবা অধিদপ্তর মিলনায়তনে অধিদপ্তরের কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকাণ্ডের বিস্তৃতি অনেক। সারা দেশে মহানগর, জেলা, উপজেলা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যন্ত এ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কাজ করছে। প্রতিটি কর্মচারীকে বুঝতে হবে, তিনি কত বড় একটা স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুদক্ষ কারিগর। এই স্বপ্নটিকে তারা নিজের স্বপ্ন হিসেবে নিবেন। নিজের বুকে ধারণ করবেন, সেই স্বপ্নটিক বাস্তবায়নের জন্য তারা কাজ করবেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হচ্ছি। এখন আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। চারটি ভিত্তির প্রধানটি হলো স্মার্ট নাগরিক। এই স্মার্ট পোশাক-পরিচ্ছেদে স্মার্ট নয়। স্মার্ট নাগরিক মানে, যিনি সৎ, মানবিক, পরমসহিষ্ণু, সহমর্মী, পরোপকারী, অসাম্প্রদায়িক ও সমস্যার সমাধান করতে সবসময় প্রস্তুত। এ ধারণা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
মন্ত্রী সমস্যাকে পাশ না কাটিয়ে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করা ও অপরের প্রতি সহমর্মী হওয়ার বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন, সবাইকে ‘আমিই সমাধান’ এই মূল্যবোধ সম্পন্ন হতে হবে। আমাদের তরুণ সমাজকে সহমর্মিতায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তারা যা কিছু করছে সবকিছুতে যেন সহমর্মী হয়, অপরের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ায়।
মন্ত্রী দেশ ও জনগণের কল্যাণে সামাজিক দায়িত্ববোধ বিষয়ে বলেন, একটা কিছু করতে সরকারের সহায়তা বা বিদেশি সংস্থার সহায়তা অপরিহার্য, এ ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা যদি একটা সমাজের যে অন্তর্নিহিত শক্তি আছে তা অনুধাবন করতে পারি এবং আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার ঐতিহ্যগুলো যদি ফিরিয়ে আনতে পারি তাহলে আমাদের জন্য দারিদ্র্য, প্রতিবন্ধিতা ও অসাম্যকে জয় করা সম্ভব।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ সচিব মো. খায়রুল আলম সেখ।
মন্তব্য করুন