ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিবন্ধনবিহীন হ্যান্ডসেটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) অটোফিলের মাধ্যমে বিএনডিএ সার্ভিস বিইউএস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা ইলেকট্রনিক টেলিযোগাযোগ গ্রাহক নিবন্ধন ফরমে সংযোজন এবং বিটিআরসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকালের (১৫ জানুয়ারি) ক্যাবিনেট সভায় আমাদের সরকারের অপচয় রোধ করে রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। এই পাঁচ বছরে আমরা কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি রচনা করতে চাই। যেখানে আমরা টেলিকম এবং আইসিটি খাত থেকে রপ্তানি আয়, কর্মসংস্থান, রাজস্ব আয় এবং বিনিয়োগ বাড়াতে চাই।
পলক বলেন, এই ৪টি লক্ষ্য পূরণ করতে বিটিআরসির আলাদা একটা মোবাইল ফোন রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম বা আইএমইআই সিস্টেম থাকা প্রয়োজন। এর ফলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধকেও সহজে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা যাবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে যেসব ফোন তৈরি বা আমদানি করা হয় সেগুলোর ডেটাবেজ এবং অটোমেটিক রেজিস্ট্রেশন করার সুব্যবস্থা বিটিআরসির আছে। তাই রেজিস্ট্রেশন ছাড়া যে মোবাইল ফোনগুলো আছে সেগুলো যাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়, এ ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই।
কারণ হিসেবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে রপ্তানি আয়, কর্মসংস্থান, রাজস্ব আয়, বিনিয়োগ বাড়ানো এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় একটি সাধারণ প্রযুক্তিভিত্তিক সমাধান আমাদের নানাভাবে লাভবান করতে পারে। তাই আমি বিটিআরসির চেয়ারম্যান, এনটিএমসির (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার) ডিজিসহ সবাইকে অনুরোধ করব এটি দ্রুত কার্যকর করতে। কারণ আমাদের হাতে যেসব জিনিস আছে সেসব বিষয়ে আমরা কোনো ছাড় দিতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, যদি কোনো গোষ্ঠী, স্বার্থান্বেষী মহল এই কাজে বাধা দিতে চায়, তাহলে তাদের নাম-ঠিকানা-পদবি আমাকে দেবেন, আমি প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট, স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই ‘পরিচয়’ ভেরিফিকেশন অথেনটিকেশন সার্ভিস উপহার দিয়েছেন, যার মাধ্যমে আমাদের সার্ভিস ডেলিভারির ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সহযোগিতা রয়েছে, যেটিকে আরও বাড়ানো প্রয়োজন। আমাদের ভেরিফিকেশন অথেনটিকেশন সার্ভিসকে আরও বেশি স্মার্ট এবং ভাইব্র্যান্ট করতে হবে, যাতে প্রত্যেকটা ডেটাবেজ একটার সঙ্গে আরেকটা ইন্টারঅপারেটেবল হয়।’
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের ৪টা স্তম্ভ অর্জন করতে হলে আমাদের দরকার, ভেরিফাইয়েবল স্মার্ট আইডি, ডিজিটাল ইন্টারঅপারেবল পেমেন্ট সিস্টেম, ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং ডেটা ড্রিভেন ডিসিশন মেকিং। এই সবগুলোর প্রধান জায়গা হচ্ছে বিটিআরসি। আমরা এটির পেছনের ব্যাকবোন হয়ে কাজ করতে চাই।
মন্তব্য করুন