নতুন সরকারে অর্থমন্ত্রী যিনি হবেন তার কাজ হবে অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করা এমন মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, তবে এই নতুন সরকারের অর্থমন্ত্রী কে হবেন সেটা প্রধানমন্ত্রীই ঠিক করবেন।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্বাচন-পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, অর্থনীতি যদি সবল না থেকে, দুর্বল থাকে, তাহলে দেশ কীভাবে এগোবে। তাই যিনিই অর্থমন্ত্রী হোক না, অথর্নীতিকে আরও গতিশীল করতে কাজ করবে সরকার। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উত্তীর্ণ হয়েছিল, যা সম্প্রতিক সময়ে কমেছে। তবে আগামীতে ৩০ বিলিয়নের নিচে এ রিজার্ভ নামতে দেওয়া হবে না।
এ সময় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে স্যাংশন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশ কোনো অন্যায় করে নাই। ফলে বাংলাদেশের ওপর কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণও নেই। এরকম কেউ কিছু করলে সেটা হবে জোর করে করা। কেউ জোর করে করলে করতেই পারে। বাংলাদেশও সেরকম করতে পারে।
আগামী সরকারের করণীয় প্রসঙ্গে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, নতুন সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে অর্থনীতি ঠিক রাখা। এজন্য সরকারকে অর্থনীতির সম্ভাবনাময় খাতগুলো উন্মোচন করতে হবে। রাজস্ব সংগ্রহে সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে নেওয়ার জন্য অনেকগুলো এলাকা আছে। যে এলাকগুলো এখনো পূর্ণ মাত্রায় উন্মোচন করা হয়নি। অনেক কম্পনেন্ট আবিষ্কার হয়নি। এসব বিষয়ে সরকারকে আরও কাজ করতে হবে।
সেক্ষেত্রে নতুন অর্থমন্ত্রীর অগ্রাধিকার হবে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানো। সেজন্য যেসব জায়গায় এখনো এক্সপ্লয়েট করা হয়নি সেগুলো করতে হবে। রাজস্ব সংগ্রহ নিয়ে সরকারের বড় চিন্তা রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল শক্তি ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ। নেট অথবা গ্রস যে কোনো রিজার্ভ ভালো অবস্থানে রয়েছে। এবছর সবসময় রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার রাখব।
কামাল বলেন, বাংলাদেশের বার্ষিক বৈদেশিক ঋণ বৈদেশিক রেমিট্যান্সের সমান নয়। ফলে এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এর বাইরে গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস থেকে আয় হচ্ছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে অনেক রিফর্ম হয়েছে। ব্যাংক খাত অনেক ভালো আছে। দুএকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। যেগুলো আগামীতে দেখা হবে। বাংলাদেশ এগোচ্ছে। এগোবে। এনপিএল এখন কম। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ ২০ তম অর্থনীতি হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি না হলে অর্থনীতি এগোবে না। যারা অর্থনীতি নিয়ে গভীরভাবে ভাবে না, তারাই মূল্যস্ফীতি নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু মূল্যস্ফীতিতো অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরের মধ্যে ৮ থেকে ১০ বছর ৬ শতাংশের নিচে ছিল। এর থেকে ভালো অবস্থা হতে পারে না।
মন্তব্য করুন