কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৩৭ পিএম
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনা কীভাবে হয়, জানালেন ডিবির হারুন

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। পুরোনো ছবি
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। পুরোনো ছবি

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে বিএনপির নেতারা ভিডিও কনফারেন্স করে ভার্চ্যুয়াল একটি মিটিং করে। ১৭ মিনিটের ওই মিটিংয়ে ট্রেনে আগুন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় আগুন দেওয়ার জন্য। সে অনুযায়ী শুক্রবার রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়া হয়।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিবিপ্রধান।

হারুন অর রশীদ বলেন, বিএনপি নেতা নবীউল্ল্যাহ নবীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পর ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনার বিষয়ে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানান যুবদলনেতা কাজী মনসুর। জিজ্ঞাসাবাদে মনসুরের দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও গণমাধ্যমকে দিয়েছে ডিবি পুলিশ। সেখানে ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনার বর্ণনা রয়েছে।

তিনি বলেন, কাজী মনসুরকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছে আমরা দুটি বিষয় জানতে পেরেছি। তার বড় ভাই, বড় মাপের নেতা এনামুল ইসলাম খন্দকার ও রবিউল ইসলাম নয়নের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ডে টাকা, ককটেল ও বিস্ফোরক দ্রব্য বিতরণ করেছে; নির্বাচনী ক্যাম্পগুলোতে তারা আগুন লাগাবে। ককটেল বিস্ফোরণ করবে, উদ্দেশ্য কেউ যেন ভোটকেন্দ্রে না আসে। এই পরিকল্পনায় জড়িত পাঁচজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তাদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ও ২০ পিস ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। নবী উল্লাহ নবীকে অর্থদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

হারুন বলেন, দুই দিন আগে তাদের হাইপ্রোফাইল ভিডিও কনফারেন্স ছিল। সেখানে প্রথমে আসে মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনাম। তারপর আসে সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ গাফফার ও ইকবাল হোসেন বাবলু, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান চৌধুরী এবং যুবদলের আটটি টিমের লিডার। সেই কনফারেন্সে ছিলেন কাজী মনসুর। কনফারেন্সে এক পর্যায়ে বলা হলো, বৃহত্তর ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা পর্যন্ত ট্রেনে; বিশেষ করে নরসিংদীর কাছে এসে সুবিধাজনক জায়গায় অগ্নিসংযোগ করা। আরেকটি হলো কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ রুটে যাত্রীবাহী বগিতে অগ্নিসংযোগ করা; যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়, জনগণ চূড়ান্তভাবে ভীত হয়। ভিডিও কনফারেন্সের এক পর্যায়ে তারা বলছিল, আগুন লাগাতে হবে ট্রেনে, আপনাদের কে রাজি আছেন? ১০-১২ জনের মধ্যে একজন শুধু বলল, আমি পারব। এই মুহূর্তে আমি নাম বলছি না। ২০১৩-১৪ সালে বাংলামোটর এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ করেছিল এ রকম তিনজনকে তারা ঠিক করে। তাদের নামও আমাদের কাছে আছে।

ডিবিপ্রধান আরও বলেন, একটি গ্রুপ ভিডিও কনফারেন্সে এসে কারা কারা ঘটনা ঘটাবে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরেকটি গ্রুপ হচ্ছে দূর থেকে পরামর্শ ও অর্থদাতা। পরামর্শ ও অর্থদাতা হিসেবে আমরা যাদের নাম পেয়েছি তার মধ্যে এক নম্বর হচ্ছেন নবী উল্লাহ নবী। তাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইসরায়েলে রকেট হামলা, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ভিয়েতনামে সুপার টাইফুন ‘ইয়াগির’ হানা, মৃত ৪

ওএসডি হলেন অতিরিক্ত সচিব সায়লা ফারজানা 

জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ ঘটছে আজ

অভিজ্ঞতা ছাড়াই ১৫০০ জনবল নেবে দারাজ

আজ চট্টগ্রাম যাবেন হাসনাত, মুন্সিগঞ্জে সারজিস

জনবল নেবে মধুমতি ব্যাংক, ৩৫ বছরেও আবেদন

রাজশাহীতে গণপিটুনিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নিহত 

কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

দেশে ফিরলেন আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৪ বাংলাদেশি

১০

আজকের নামাজের সময়সূচি

১১

শহীদ আমিনুলের সন্তানদের দায়িত্ব নিল ইত্তেফাকুল উলামা

১২

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

১৩

মিছিলে বিএনপি নেতার গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

১৪

রৌমারীতে ব্যবসায়ীদের আহ্বায়ক কমিটির শপথ অনুষ্ঠিত

১৫

৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ায় মামুনের বিরুদ্ধে যুবদলের মামলা

১৬

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

১৭

ক্ষমা পেয়ে আমিরাত থেকে ১২ জন ফিরছেন চট্টগ্রামে

১৮

‘ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকার দুই ভাবে পরাজিত’

১৯

মহানবীকে (সা.) কটূক্তিকারী সেই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

২০
X