বাংলা একাডেমির সভাপতি ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেছেন, আমাদের জাতীয় জীবনে সৈয়দ শামসুল হকের রচনায় অসামান্য ব্যঞ্জনায় ভাস্বর হয়েছে। বাংলাসাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে তার এক জীবনের স্বর্ণশস্যসম রচনাবলি।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলা একাডেমি এ আয়োজন করে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু।
বক্তারা বলেন, বাঙালি মধ্যবিত্ত সমাজের সমানুভূতি, দুঃখ-কষ্ট আবেগ-অনুভূতি-সাহস-ভালোবাসা সবই সাবলীল, প্রাঞ্জল ভাষা ও সহজ কথায়, ভাব-রূপে-ছন্দে উঠে এসেছে তার রচনাসমূহে। সঙ্গতই ‘সব্যসাচী লেখক’ উপাধি পেয়েছেন পঞ্চাশের দশকের মেধাবী, মননশীল, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই লেখক সত্তা যার নাম কবি-সব্যসাচী সৈয়দ শামসুল হক।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, সৈয়দ শামসুল হক বাংলাসাহিত্য এবং বিশ্বসাহিত্যের প্রেক্ষাপটেও একজন অনন্য লেখক। যার প্রতিটি সৃষ্টি নতুন বিচার-বিবেচনার দাবি রাখে।
ড. সরকার আমিন বলেন, সৈয়দ শামসুল হক সৃষ্টি ও যাপনে ছিলেন একজন অতি আধুনিক মানুষ। তার সৃষ্টিসম্ভার আমাদের নতুন নতুন সৃষ্টিতে প্রাণিত করে।
ড. দিলারা হাফিজ বলেন, শুধু কবিতায় নয়, বাংলা ভাষা তথা বাংলাদেশের সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কর্ণধার, মেধাবী লেখক সৈয়দ শামসুল হক তার দীর্ঘ সাহিত্যজীবনে শিল্প-সাহিত্যের যে শাখায় হাত রেখেছেন, সেখানেই সোনা ফলেছে। বহুমুখী তার মেধা-মনন-প্রজ্ঞার স্বাক্ষর রেখেছেন শিল্প-সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায়। কবিতা, উপন্যাস, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, অনুবাদ নাটক, কাব্যনাটক, চিত্রনাট্য, গীতিকার কোথায় নেই তিনি।
ড. মো. হাসান কবীর বলেন, সৈয়দ শামসুল হক বাংলাসাহিত্যের বিস্ময়-মানব। তার সৃষ্টিকর্ম নিয়ে উত্তরপ্রজন্মের নিবিড় গবেষণা প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি পত্রিকা ও মিলনায়তন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. সরকার আমিন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা একাডেমির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মো. হাসান কবীর।
মন্তব্য করুন