কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৩০ পিএম
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিজয়ের মাসে মরণোত্তর দেহদান করলেন শাহীন-হাসি সম্পাদক দম্পতি

এফ এম শাহীন ও বাণী ইয়াসমিন হাসি। ছবি : কালবেলা
এফ এম শাহীন ও বাণী ইয়াসমিন হাসি। ছবি : কালবেলা

মরণোত্তর দেহদানের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষ করেছেন সরকার নিবন্ধিত আইপি টেলিভিশন জাগরণ টিভির প্রধান সম্পাদক, সংগঠক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা এফ এম শাহীন এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিবার্তা২৪ ডটনেট-এর সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসি। সম্পর্কে তারা দু'জন স্বামী-স্ত্রী।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এফ এম শাহীন। তিনি জানান, আমরা গত সপ্তাহে দেহদানের অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করেছিলাম। গতকাল প্রাপ্তিস্বীকার পত্র পেয়েছি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স এন্ড মলিকিউলার বায়োলজি'র অধ্যাপক এবং এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. লায়লা আনজুমান বানু স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি পেয়েছেন তারা।

চিঠিতে বলা হয়েছে, জন্মসূত্রে তিনি একজন বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক ও বাসিন্দা। মৃত্যুর পর তার মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগে সংরক্ষণ, শিক্ষণ-প্রশিক্ষণ, গবেষণা করা হবে। এছাড়াও চিকিৎসায় যে কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যবহারের জন্য অঙ্গীকার করেছেন।

চিঠিতে আরও লেখা হয়, তার অঙ্গীকার সংক্রান্ত সমুদয় কাগজপত্র এনাটমি বিভাগ কৃতজ্ঞতার সাথে গ্রহণ করছে এবং মৃত্যুর পর মরদেহ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সার্বিক পরিচ্ছন্নতা, পবিত্রতা ও সম্মান নিশ্চিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। মরদেহের যথোপযুক্ত ব্যবহারের পর সেটির যথোচিত সৎকারের বিষয়েও সর্বাধিক যত্ন ও সতর্কতা নিশ্চিত করা হবে।

এফ এম শাহীন ও বাণী ইয়াসমিন হাসির গ্রামের বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলায়। মরণোত্তর দেহদান করার কারণ জানতে চাইলে এফ এম শাহীন বলেন, আমরা আরও আগে মরণোত্তর দেহদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিজয়ের মাসে কাজটি করতে চেয়েছিলাম। বিজয়ের মাস বেছে নেয়ার কারণ একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের ৩০ লাখ পূর্বসূরিরা জীবন দিয়ে দেশটাকে অর্জন করেছেন। তাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করতেই আমাদের বিজয়ের মাস বেছে নেওয়া। ঠিক আমাদের মৃত্যুর পর আমাদের দেহটা যেন দেশের কাজে লাগে, চিকিৎসা, গবেষণা বা অন্য কেউ যদি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করে ভালো থাকতে পারে সেজন্যই আমাদের এ উদ্যোগ নেয়া।

এদিকে, গত ১৩ নভেম্বর এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি মরণোত্তর দেহদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বাণী ইয়াসমিন হাসি লিখেন, 'সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি মরণোত্তর কিডনি এবং লিভার ডোনেট করে যাবো। এর আগে সন্ধানীতে চোখ দিয়েছি। আমি থাকবো না কিন্তু আমার কিডনি আর লিভার দিয়ে চারটা মানুষ নতুন জীবন পাবে। আমার চোখ দিয়ে ২ টা মানুষ তার প্রিয়জনকে দেখবে।'

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টাইব্রেকারে আলভারেজের পেনাল্টি কেন বাতিল করা হলো?

মাদ্রিদ ডার্বিতে নাটকীয় টাইব্রেকার শেষে রিয়ালের জয়

বিএনপিতে বড় পদ পেলেন ২ জন

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় জবি ছাত্রদল নেতার দোয়া মাহফিল

শাহবাগে রাতভর অবস্থান করবে ইনকিলাব মঞ্চ

‘ফেসবুকে নাহিদ-জামায়াতের আমিরের ছড়িয়ে পড়া ছবিটি এআই দ্বারা তৈরি’

দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে সেনাবাহিনী  / মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন

এবার হাসনাতের ‘ফুলস্টপ’!

গোপন বন্দিশালায় মানসিক ভারসাম্য হারানো তরুণের সন্ধান মিলেছে

যশোরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

১০

জানা গেল ঈদের সম্ভাব্য তারিখ

১১

উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে ডিলার নিয়োগ, প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনও

১২

শাহবাগ ও জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে মাহফুজ আলমের ব্যাখ্যা

১৩

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার ফেরা নিয়ে আ.লীগ নেতার সাক্ষাৎকার

১৪

যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ডিইউজের

১৫

প্রিজন সেলে ভিআইপি সুবিধা পাচ্ছেন আ.লীগ নেতা খালিদ

১৬

গুলিতে ইমামের পা হারানোর ঘটনায় ওসিসহ ৩১ জনের নামে মামলা

১৭

দেশের সব রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা শেখ হাসিনা : মেজর হাফিজ 

১৮

পরীক্ষা না দিয়ে শিক্ষার্থী পাসের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন 

১৯

চট্টগ্রামে তিন দিনেও স্বাভাবিক হয়নি পানি সরবরাহ

২০
X