ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানি ও ডেভেলপার কোম্পানি নকশায় মাঠ, পার্ক ও ফাঁকা জায়গা দেখিয়ে অনুমোদন নেয়। প্লট বিক্রির সময় তারা নকশায় খেলার মাঠ, পার্ক, ওয়াকওয়ে ও বাজার দেখাচ্ছে। জায়গার দাম বাড়ায় খেলার মাঠ ও বাজার প্লট আকারে বিক্রি করে দিচ্ছে। কিন্তু হাউজিংয়ের খেলার মাঠ কোনোভাবেই প্লট আকারে বিক্রি করা যাবে না। আমি ইস্টার্ন হাউজিংকে বলেছি, নকশা অনুযায়ী খেলার মাঠ, পার্ক ও কবরস্থান নির্মাণ করতে হবে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) ডিএনসিসির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় খেলার মাঠ, পার্ক ও কবরস্থান পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, আজ পরিদর্শনে গিয়ে দেখলাম, জনগণের জন্য একটি পার্ক, কবরস্থান ও খেলার মাঠ নির্মাণ করা হয়েছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিকাশের জন্য এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, ডেভেলপার কোম্পানিকে নকশা অনুযায়ী মাঠ ও পার্ক নির্মাণ করতে হবে। ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার টেকসই উন্নয়নের জন্য এরই মধ্যে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই ড্রেনেজ, রাস্তা, ফুটপাত ও ব্রিজের কাজ শুরু হবে। এই এলাকায় একের পর এক বড় বড় ভবন নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু আমাদের শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য মাঠ ও পার্ক নির্মাণ করতে হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, শুধু ভবন নির্মাণ করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিক বিকাশ হবে না। আজ যে পার্ক ও মাঠ পরিদর্শনে এলাম আগেও আমি এখানে এসেছিলাম। তখন এখানে ময়লার ভাগাড় ছিল, নির্মাণসামগ্রী রেখে এটি দখল করা ছিল, এখানে গরু লালন-পালন করা হতো। সেটি দখলমুক্ত করে পার্ক ও খেলার মাঠ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো। সবাই এখানে খেলাধুলা করবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, কবরস্থান, মাঠ ও পার্ক আজ উদ্বোধন করা হলো। এই জায়গায় ভবিষ্যতে প্লট আকারে বরাদ্দ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আগে যদি বরাদ্দ হয় তাদের অন্য জায়গায় প্লট দিতে হবে। এ এলাকার মালিক সমিতিকে আহ্বান করব এগুলো দেখে রাখার জন্য। জনগণ সম্পৃক্ত হলে মাঠ ও পার্ক কেউ দখল করতে পারবে না। ইস্টার্ন হাউজিং কোম্পানিকে অনুরোধ করব মাঠটির চারপাশে দর্শকরা যেন বসে খেলা দেখতে পারে সেজন্য গ্যালারির ব্যবস্থা করে দেবেন।
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নৌপথ চালুর বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি মিরপুরের রূপনগর খাল দিয়ে তুরাগ নদী পর্যন্ত নৌপথ চালু করা হবে। রূপনগর খালে মোট ১১টি ব্রিজ রয়েছে। সেগুলোকে আর্চ ব্রিজ নির্মাণের মাধ্যমে এই পথে নৌযান চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। এই শহরকে বাঁচাতে ন্যাচার বেজড সলিউশন করতে হবে। নৌপথ চালুর মাধ্যমে যানজট যেমন কমবে একই সঙ্গে পরিবেশ দূষণ রোধ করা সম্ভব হবে।
পার্ক ও কবরস্থান পরিদর্শন শেষে মেয়র আতিকুল খেলার মাঠে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের মধ্যকার প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি নিজে ফুটবল খেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করেন। এ সময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. তাইজুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন