হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আগামী রোববার (২ জুলাই) থেকে দেশে ফিরতে শুরু করবেন হাজিরা। যা চলবে ২ আগস্ট পর্যন্ত। তবে ফেরার সময় হজযাত্রীদের লাগেজে জমজমের পানি না আনার পরামর্শ দিয়েছে এয়ারলাইনগুলো।
এয়ারলাইন্স সংস্থাগুলো জানিয়েছে, হজযাত্রীদের সৌদি পৌঁছানোর সময় ফিরতি ফ্লাইটে জমজমের পানি নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হজরত সব হাজিদের জন্য জমজমের পানি মজুত রয়েছে। তারা বাংলাদেশে আসলেই প্রত্যেকে পাঁচ লিটারের জমজমের পানি দেওয়া হবে। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম অথবা সিলেটে বিমানবন্দরেও একই রকমভাবে জমজমের পানি পাবেন হাজিরা।
তারা আরও জানিয়েছে, সৌদি সরকার প্রত্যেক হাজির জন্য ৫ লিটারের জমজমের পানি নির্ধারণ করেছে। তার বেশি আনার সুযোগ নেই। কোনো হাজি লাগেজে জমজমের পানি আনলে সেই লাগেজ সৌদিতেই থেকে যাবে। কিংবা সৌদি বিমানবন্দরে লাগেজ খুলে পানি ফেলে দেওয়ার পর তা বিমানে তুলতে দিবে। একই রকমভাবে অনেক হাজি সৌদি থেকে উট, দুম্বার কাচা মাংস ফ্রোজেন করে আনার চেষ্টা করেন। সেটাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ ১,২২,৮৮৪ জন সৌদি আরবে গিয়েছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৫৯টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ১৮০ জন হজযাত্রী পরিবহন করেছে। আর সৌদি এয়ারলাইন্স ১১৩টি ফ্লাইটে ৪১ হাজার ৪৬৮ জন হজযাত্রী পরিবহন করেছে। ফ্লাইনাস ৫৩টি ফ্লাইটে ২০ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী পরিবহন করেছে।
এদিকে হজ পালন করতে গিয়ে এরই মধ্যে তিন দিনে হিট স্ট্রোকের শিকার হয়েছেন সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি হজযাত্রী। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সাত বাংলাদেশি হাজির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৩০ জুন) হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হজ পালনে গিয়ে এ পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে এক দিনেই মারা গেছেন সাতজন।
এবার মক্কার প্রচণ্ড তাপ ও গরমে হিটস্ট্রোকের শিকার হয়েছেন অনেকে। এর বাইরে গত ৩৯ দিনে অন্তত এক লাখ ১১ হাজার ৭৬১ জন হজযাত্রী তীব্র গরমজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল এবং অস্থায়ী স্বাস্থ্যশিবিরগুলোতে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. মোহম্মদ আল আবদুল আলি।
মন্তব্য করুন