এবারও ৩১ ডিসেম্বর রাত বা থার্টি ফার্স্ট নাইটে খোলা জায়গায় অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। সবাইকে ঘরোয়া পরিবেশে রাতটি উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে গির্জাগুলোর নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রাখা হবে। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে অনুরোধ করেছি তারা যেন প্রচুরসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক রাখেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তারা যেন কাজ করেন।
২৪ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত গির্জা এলাকাগুলোয় গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশের খ্রিষ্টান অধ্যুষিত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে কেউ যদি পড়েন তবে তাৎক্ষণিক ৯৯৯ নম্বরে জানাতে বলা হয়েছে।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে জোরে বাঁশি বাজানো, পটকা ফোটানো, আতশবাজি কিংবা ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ রেখেছি।
৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কয়েক দিন থেকে লক্ষ্য করছি রাতে দুর্বার গতিতে গাড়ি বা মোটরসাইলে রেস শুরু করেছে। গোয়েন্দা সংস্থা থেকে জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর এটি ব্যাপকহারে হতে পারে। সেজন্য রাস্তায় চেকপোস্ট দেওয়া হবে।
‘বড় দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে কূটনীতিক এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নজরদারি বাড়ানো হবে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে যাতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার না হয় সেজন্য আমরা অনুরোধ রাখব। এটা রোধের জন্য নিরাপত্তা বাহিনী তৎপর থাকবে। বার বন্ধ করার ব্যবস্থা নিয়েছি।’
মন্তব্য করুন