দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। ফলে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকার জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আকাশ মেঘলা থাকতে পারে ও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ০৫-১০ কিমি বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। ফলে দিনের তাপমাত্রা প্রায় ১ থেকে ২ সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে রাজধানীসহ একাধিক স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ভোর রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়, যার প্রভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে বাইরে বের হওয়া কর্মজীবী মানুষের।
এদিন সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ গত মধ্যরাত ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৬০ কিলোমিটার, দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ৫ ডিসেম্বর ভোররাত নাগাদ নিলর ও মাসুলিপট্টমের কাছ দিয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম বাংলাদেশে প্রভাব পড়বে না জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানিয়েছেন, ৫ ডিসেম্বর ভোরে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। তবে বাংলাদেশে এর তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে এর প্রভাবে ৫ ও ৬ ডিসেম্বর দেশের উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। এতে তাপমাত্রা কমে আসবে। শীতের আমেজও পাওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন