সংঘাতময় সুদান থেকে আরও ১৫০ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে। সোমবার (২৬ জুন) পর্যন্ত নতুন করে ১২৮ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরার জন্য নিবন্ধন করেছে। আগামী শুক্রবার (৩০ জুন) থেকে তাদের দোহা রুটে দেশে ফেরত আনতে শুরু করবে সরকার।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) সুদানে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ কালবেলা’কে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এক ফেসবুক পোস্টে জানান, ‘আমরা উদ্ধার অভিযান শুরু করার সময়ই কয়েক দফা তারিখ পরিবর্তন করে নতুন কেউ আগ্রহী না থাকার কারণে তা বন্ধ ঘোষণা করি। কিন্তু আমাদের উদ্ধার ক্যাম্প বন্ধ করার পর পোর্ট সুদানে অনেক বাংলাদেশি জড়ো হতে শুরু করে। খার্তুমের পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় কয়েক দিনের মধ্যে সংখ্যাটি ১০০ ছাড়িয়েছে। তাদের থাকার উপযুক্ত জায়গা না-থাকায় তারা অনেক কষ্টের মুখোমুখি হয়েছেন। খোলা আকাশের নিচে লোহিত সাগরের তীরে তাদের রাত কাটে। আমরা তাদের ব্যবহারের জন্য শুধু ফ্লোর ম্যাট এবং কিছু পানির ট্যাঙ্ক সরবরাহ করতে পেরেছিলাম গত কয়েক দিনে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা চিকিৎসা সহায়তার চেষ্টা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কনসুলেট মন্ত্রণালয়কে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেন এবং আমরা তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুমোদন দেই। এখন জেদ্দার কোনো ফ্লাইট না থাকায় বদর এয়ারলাইন্সে দোহা যাওয়ার নতুন রুট খুলেছে।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা আবার উদ্ধার ক্যাম্প খুলে রেজিস্ট্রেশন শুরু করেছি। গত পরশু পর্যন্ত ১০৪ জন ফেরার অভিপ্রায়ে নিবন্ধন করেছেন। আমরা নিবন্ধনের শেষ তারিখ হিসেবে ২৭ জুন ঘোষণা করেছি। আমরা আশা করছি যে ১৫০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নিবন্ধন করবে। ৮০ জন যাত্রী ৩০ জুন দোহায় প্রথম ফ্লাইট নেবেন এবং তারা বিমান বাংলাদেশের সামনের ফ্লাইটে উঠবেন ১ জুলাই, আরও ৮০ জন যাত্রী একই রুটে যাবেন। যদি আমাদের ১৬০ জনের বেশি যাত্রী থাকে তারা ২ জুলাই ফ্লাইট নেবেন। আশা করি, এই পরিবারগুলোর জন্য ঈদের আগে এ সংবাদ কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।’
উল্লেখ্য, সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে গত ১৫ এপ্রিল সংঘর্ষ শুরু হলে কয়েক দফায় সেদেশে অবস্থানরত প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশির মধ্যে ৯০০ জনকে দেশে ফেরত আনা হয়।
মন্তব্য করুন