কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:২৪ পিএম
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আচরণবিধি না মানলে ব্যবস্থা নেবে ম্যাজিস্ট্রেটরা : ইসি আলমগীর

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। পুরোনো ছবি
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। পুরোনো ছবি

মনোনয়ন ফরম কেনার সময় প্রার্থীদের মিছিল বা শোডাউন নির্বাচনী আচরণ বিধির মধ্যে পড়েনা বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

তিনি বলেন, পার্টি অফিসের ভিতরে তারা রাজনৈতিক কি কার্যক্রম করল না করল এটি নির্বাচনী আচরণবিধির মধ্যে পড়বে না। আর কোনো জায়গায় আচরণবিধি ভঙ্গ হচ্ছে কিনা এগুলো রিটার্নিং কর্মকর্তারাই দেখবেন। তবে এলাকায় গাড়ি বা মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন করে তারা এখন কোনো প্রচারণা করতে পারবে না।

আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে এ কথা বলেন তিনি।

মো. আলমগীর বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা আচরণবিধি না মানলে ব্যবস্থা নেবে ম্যাজিস্ট্রেটরা। আগামী ২৮ তারিখ থেকে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবে তারা এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য কেউ এখন ভোট চাইতে পারবে না।

রাজশাহীতে একজন প্রার্থী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন এ বিষয়ে আমরা জেনেছি এই বিষয়ে আপনার আপনাদের মতামত কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা কমিশনে রিপোর্ট দিয়েছেন আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।

বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা বিভিন্ন দেশের নির্বাচন কমিশনারদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমরা কেবলমাত্র তাদের লোকাল খরচ বহন করবো কিন্তু অন্য কোনো খরচ বহন করবো না। অন্য দেশেও নির্বাচন হলে আমাদের আমন্ত্রণ জানালে তারাও আমাদের খরচ বহন করে। নির্বাচন কমিশনাররা বাদে অন্য যারা সাংবাদিক বা অন্য সংস্থার লোকজন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসবেন তারা নিজের খরচে এসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি প্রমোশন করতে চাইলে আপনাদেরকে অবগত করতে হবে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, আরপিও অনুযায়ী পুলিশের কমিশনার এবং বিভাগীয় কমিশনার এর নিচে যত কর্মকর্তা আছে তারা নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া বদলি করতে পারবেন না। কোন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীর আচরণ যদি নির্বাচন কমিশনার কাছে মনে হয় নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিপক্ষে তাহলে সেই কর্মকর্তাকে ওই জায়গা থেকে নির্বাচন কমিশন বদলি করে দিতে পারবে এবং সংবিধানে আছে নির্বাহী বিভাগের কাছ থেকে নির্বাচন কমিশন যদি সহায়তা চায় তাহলে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী বিভাগ সহায়তা করবে।

বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকার দলের পক্ষে কাজ করে। এই অভিযোগের বিষয়ে আপনাদের মতামত কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৯৭০ সাল থেকে এরকম অভিযোগ শুনে আসছি এরকম অভিযোগ থাকবেই। এরকম অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সংস্কার প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই সংসদ নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা

দ্রুত সেরে উঠুক আশিক রহমান, কামনা রাষ্ট্রদূত মুশফিকের 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ সুবিচার নিশ্চিত করা : আসিফ নজরুল

ধার-দেনা করে আলু চাষ, লাভের বদলে কাঁধে ঋণের চাপ

যে শঙ্কায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন টিউলিপ

তিন কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ৫

দাবানলে ৬০ লাখের বেশি মানুষ মারাত্মক ঝুঁকিতে

সরাইলে বিএনপির নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল

মানিকগঞ্জে নিজ বাড়িতে নারীকে গলা কেটে হত্যা 

ভৈরবে আ.লীগ কার্যালয় থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

১০

আন্দোলন-ধর্মঘটে ‘কার্যত অচল’ রাবি, ব্যাহত শিক্ষার পরিবেশ

১১

রাজবাড়ীতে জমি বন্ধক নিয়ে গাঁজা চাষ, চাষি আটক

১২

টিউলিপের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ তদন্ত প্রতিবেদনে যা ছিল

১৩

নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী মারা গেছেন

১৪

ভারত থেকে এলো ২৪৫০ টন চাল

১৫

নারায়ণগঞ্জে আগুনে পুড়ল দুই কারখানা

১৬

উপসচিব বিতর্ক এবং আন্তঃক্যাডার বৈষম্যের বাস্তবতা 

১৭

কিশোরগঞ্জে হাসপাতালে ভুল ইনজেকশনে ২ রোগীর মৃত্যু

১৮

আবারও আসছে শৈত্যপ্রবাহ

১৯

দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে শক্তিশালী মালদ্বীপের পাসপোর্ট

২০
X