পরিকল্পানা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের প্রধান খন্দকার আহসান হোসেনসহ তিনজন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন। শুদ্ধাচার চর্চার কারণে তাদের ২০২৩ সালের শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ জুন) শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৩-২৪ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান ২০২৩ অনুষ্ঠান নির্বাচিতদের হাতে সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। পরিকল্পনা কমিশনের সচিব সত্যজিৎ কর্মকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের বিভিন্ন বিভাগের সদস্য ও কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন হচ্ছে। আর এসব দৃশ্যমান উন্নয়নের পেছনে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অবদান রয়েছে। এটা খুব ভালো লাগে।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য বিষয়ের মতো পরিকল্পনা কমিশন সম্পর্কে জনগণের কাছে তেমন পরিচিত না। তবে এখন মানুষ পরিকল্পনা কমিশন সম্পর্কে জানে। আগে মানুষের চিন্তাভাবনা ছিল আধ্যাত্মিক। এখন মানুষ বৈজ্ঞানিকভাবে চিন্তা করতে শিখছে। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হচ্ছে। এটা ভালো দিক। দেশের উন্নয়নে সবাইকে দল হয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ যেন বাঙালির হাতে থাকে সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে এবং দেশের জন্য কাজ করতে হবে।
এম এ মান্নান বলেন, মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার কারণে সরকারি কর্মকর্তাদের ৫ শতাংশ বেতন বাড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এটা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে ১০ শতাংশ করলে ভালো হতো।
পরিকল্পনা কমিশনের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, যারা পুরস্কার পেয়েছেন তাদের দায়িত্বের পরিধি বেড়ে গেল। এটা প্রমাণ করতে হবে তাদের নির্বাচন সঠিক ছিল। যারা পুরস্কার পেয়েছেন তাদের দেখে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হবেন। শুদ্ধাচারের অভিজ্ঞতা নিজেদের কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে। তাহলে কাজে আরও গতি আসবে।
শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্য দুই কর্মকর্তারা হলেন- শিল্প শক্তি বিভাগের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর ফারজানা ববি এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের অফিস সহায়ক মালা খাতুন।
মন্তব্য করুন