প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর বা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স সংক্ষেপে ডিজিএফআই (DGFI) হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধান সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা। এনএসআই ও বিশেষ শাখার সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা কার্যক্রম চালাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে এই সংস্থা।
আনুষ্ঠানিকভাবে ডিজিএফআই ১৯৭২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে স্থাপিত হয়। তখন এর নাম ছিল ডিরেক্টরেট অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিএফআই)। ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই সংস্থার কাঠামোগত পরিবর্তন করেন এবং নামকরণ করেন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর বা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই)। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন কে এম আমিনুল ইসলাম খান ডিজিএফআইয়ের প্রথম পরিচালক ছিলেন। ১৯৯৪ সালের ৮ মার্চ এ সংস্থার নতুন অর্গানোগ্রাম করা হয়। ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে মেজর জেনারেল হামিদুল হক মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) প্রধান কার্যালয় ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত।
ডিজিএফআইয়ের নেতৃত্বে একজন মহাপরিচালক থাকেন, যিনি ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে একজন মেজর জেনারেল (দ্বি-তারকা জেনারেল) পদে নিয়োজিত। সাতজন উপমহাপরিচালক প্রত্যক্ষ মহাপরিচালককে প্রতিবেদন করেন, যার সঙ্গে প্রতিটি উপপরিচালক তাদের যথাযথ শাখাগুলো পরিচালনা করে।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে অন্যান্য দেশের সশস্ত্র বাহিনীর ওপর বিদেশি গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করে।
গোয়েন্দা ও রাষ্ট্রবিরোধী গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সঙ্গে কাজ করে সংস্থাটি।
কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (সিটিআইবি), ডিজিএফআইয়ের একটি অভিজাত সন্ত্রাসবাদ বিরোধী গোয়েন্দা ইউনিট। ডিজিএফআইয়ের কাউন্টার টেরোরিজম শাখা থেকে ২০০৬ সালে ব্যুরোটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যে শাখাটি ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও জাতীয় সুরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) কাউন্টার টেরোরিজম সেলের সঙ্গে এই ব্যুরো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন