কর্ণফুলীর নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৮ অক্টোবর) ১১টা ৪০ মিনিটে পতেঙ্গা প্রান্তে টানেলের উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর টানেল দিয়ে আনোয়ারা প্রান্তে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে টোল আদায় করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এরই মধ্যে জনসভাস্থলে মানুষে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সব স্রোত যেন এসে মিলিত হয়েছে অনোয়ারার কোরিয়ান ইপিজেপের মাঠে।
টানেল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এইদিকে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় শুরু হয় জনসভা। শুরুতে স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন। বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু টানেলসহ ১৮টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। ১১টা ৪০ মিনিটে তিনি টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক নোট ও ডাকটিকিট উন্মোচন করবেন। এরপর তিনি যোগ দেবেন জনসভায়। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে তিনি শুরু করবেন ভাষণ।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, জনসভায় প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা জনসভায় যোগ দিয়েছেন।
রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। টানেলটি চট্টগ্রাম শহর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামে মধ্যকার দূরত্ব কমিয়ে দেবে। অর্থনীতিকে আরও প্রাণবন্ত করবে।
মন্তব্য করুন