বঙ্গোপসাগর থেকে দেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ খবর অনুযায়ী আগামী বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টার পর মধ্যরাতের ভেতর যে কোনো সময় ঝড়টি উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
সময় যতই এগিয়ে আসছে, মানুষের আগ্রহও তত বাড়ছে, কতটা প্রবল হবে ‘হামুন’? আর ইরানের দেওয়ার এই নামের অর্থই-বা কী– উৎসুক অনেকেই।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) অধীন জাতিসংঘের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগরতীরের ১৩টি দেশের (বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন) আবহাওয়াবিদদের সংস্থা এস্কেপ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়ে থাকে। সাধারণত এই দেশগুলোর নামের আদ্যক্ষর অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে নামের তালিকা তৈরি করা হয়।
নামের ক্রম অনুযায়ী এবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘হামুন’। ইন্টারনেট ঘেঁটে জানা যায়, ‘হামুন’ শব্দটি ইরানি। যার অর্থ ‘সমতল ভূমি’ বা ‘পৃথিবী’।
হামুনের পর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগরে কোনো ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে তার নাম হবে ‘মিধিলি’। নামটি দিয়েছে মালদ্বীপ। মিয়ানমার তার পরের ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে ‘মিগজাউম’। এরপরের ঘূর্ণিঝড়টির নাম রিমাল। ওমান এই নামকরণ করেছে।
মন্তব্য করুন