খুলে দেওয়া হলো ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানী এন্ট্রি র্যাম্প-২। এতে বনানী থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে ফার্মগেটে যাওয়া যাবে। বহুমাত্রিক ব্যবহারে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সুফল মিলবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ডিরেক্টর (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) কাজী মো. ফেরদাউস গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার থেকে বনানী ও মিরপুর কালশি থেকে আসা গাড়ি বনানী এন্ট্রি র্যাম্প-২ দিয়ে উঠে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে ফার্মগেট যেতে পারবে।
গত ২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ উদ্বোধন করেন। পরদিন থেকেই রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত গাড়ি চলাচল শুরু হয়। গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে চলছে বিআরটিসির বাস। তবে এ পথে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যান চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে।
১৫টি র্যাম্পের মধ্যে ১৩টি র্যাম্প নিয়ে চালু হওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ‘বনানী এন্ট্রি র্যাম্প-২’ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন থেকে বনানী ও মিরপুর কালশি থেকে গাড়িগুলো সহজেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে ফার্মগেট আসতে পারবে। এখন চালুর অপেক্ষায় রয়েছে মহাখালীর এন্ট্রি র্যাম্প।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয় ২০০৯ সালে। ২০১১ সালে এটি নির্মাণ চুক্তি সই হয়। কথা ছিল ২০১৩ সালের মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করা হবে। তবে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১০ বছর পর আংশিক উদ্বোধন করা হয় গত ২ সেপ্টেম্বর। ৩ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা থেকে এটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি চলেছে ১২ লাখ ৭৮ হাজার ২৩৫টি। এসব গাড়ি থেকে মোট টোল আদায় হয়েছে ১০ কোটি ৫৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
মন্তব্য করুন