প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কেন্দ্রিক সাম্প্রদায়িক সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট করা হবে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের আশঙ্কা করে সিইসিকে দেওয়া স্মারকলিপি প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাণা দাশগুপ্ত এ স্মারকলিপি দেন।
সিইসি বলেন, এখনো ওনারা আশঙ্কা করেন আগামীতেও এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা সহিংসতা হতে পারে। আমাদের কাছে আবেদন রেখেছেন আমরা যেন বিষয়টি বিবেচনায় নিই এবং আমাদের দিক থেকে যা করণীয় আছে তা যেন করি। আমরা বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি।
সিইসি বলেন, আমরা ওনাদের বলেছি, আসলে বিষয়টা দেখবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে যখন নির্বাচনের সঙ্গে বিষয়টা সংশ্লিষ্ট হবে, সেখানে আমাদের সংশ্লিষ্টতা এসে যায়। আমরা চিঠি দিয়ে, পত্র দিয়ে সরকারকে, সরকারের ডিসি (জেলা প্রশাসক), এসপিদের (পুলিশ সুপার), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়– যারা যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত তাদের আমরা অবহিত করব, দেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা সহিংসতা না হয়।
কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, নির্বাচনের ১৫ দিন পর পর্যন্ত আমাদের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর থাকে। আমরা সেদিকে নজর রাখব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্বাচনোত্তর হোক, নির্বাচনোত্তর না হোক দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, সংঘাত যাতে না হয়- এটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদের। যদি এটা না হয় এর দায়-দায়িত্ব তারাই বহন করবে।
মন্তব্য করুন