কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এনআইডির তথ্য ফাঁস, নজরদারিতে মোবাইল অপারেটরগুলো

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

সম্প্রতি টেলিগ্রামে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ফাঁস হওয়ার বিষয়টি নজরে এসেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের। টেলিগ্রামে তথ্য ফাঁসের ঘটনায় মোবাইল অপারেটরসহ সব পার্টনার সার্ভিসকে নজরদারির আওতায় এনেছে ইসি। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও এনআইডির সিস্টেম ম্যানেজারকে তথ্য ফাঁসের বিষয়টি তদন্ত করার দায়িত্ব দিয়েছে ইসি।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিক এসব বিষয়ে একাধিক প্রশ্নের জবাব দেন এনআইডি মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর।

মোবাইল নম্বরসহ ডিটেইল তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, এগুলো কীভাবে সম্ভব— এমন প্রশ্নের জবাবে এনআইডি ডিজি বলেন, ইন্টারনেটের যুগে সবকিছু সম্ভব। নানাজনের কাছে আমাদের নানা তথ্য আছে। সব জায়গা থেকে ডাটা নিয়ে এগুলো করতে পারে। আমাদের এখান থেকে তথ্য যায়নি। কাজেই আমরা তো বলতে পারব না।

১৭৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কে কী করেছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের এখান থেকে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই সিস্টেম ম্যানেজারকে নিয়ে। তারা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিলে বলতে পারব। কতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে এমন কিছু বলা হয়নি। যাদের কাছ থেকে তথ্য গেছে বলে সন্দেহ হয়েছে সবার সার্ভিস দেওয়া বন্ধ আছে। কত প্রতিষ্ঠান সেটা এই মুহূর্তে বলা যাবে না। তদন্তের পর বলা যাবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ইসির কোনো দুর্বলতা নাই। কারণ ইসির এখান থেকে হ্যাক হয়নি। ইসির টেকনিক্যাল দিকটা খুব স্ট্রং। তারা সবসময় এটা মনিটর করে।

তিনি বলেন, মোবাইল কোম্পানি হয়ত মোবাইল নম্বর দিয়ে দিচ্ছে। আমি তো বলছি যে পাঁচজনের কাছ থেকে পাঁচ রকম তথ্য নিচ্ছে। পৃথিবীতে এই চক্রটা আনএথিক্যাল চক্র। এটাই আমরা বের করতে চাচ্ছি। এই চক্রটা কারা।

তিনি আরও বলেন, আমরা পার্টনারদের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক সেবা পুরোপুরি বন্ধ করতে পারছি না। তদন্তের পরে দোষী যে হবে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। জরিমানা করার কোনো বিধান নেই। জরিমানা করেই বা কী হবে। মোবাইল অপারেটরগুলোরও কেউ জড়িত থাকতে পারে। আমরা সেটিই তদন্ত করে দেখছি।

একটি মন্ত্রণালয়ে এর আগে যে তথ্য দিয়ে এনআইডি তথ্য পাওয়া গেছে এবারও তাই হচ্ছে- বিষয়টি উত্থাপন করা হলে তিনি বলেন, আমরা আগে তদন্ত করে দেখি। তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর সবাইকে সব তথ্য শেয়ার করা হয় না। পুলিশের কাছে ১০- ১২টা তথ্য আছে। ব্যাংকগুলো কাছে নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা আছে, এই রকম।

আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, পাবলিক সার্ভিস কমিশনে যখন আবেদন করেন তখন প্রাইভেসি থাকে নাকি? যখন নিকাহ নিবন্ধন করেন তখন কি প্রাইভেসি থাকে? টেকনোলজির যুগে প্রাইভেসি বলতে কিছু থাকে না। টেকনোলজির যুগে আপনার প্রাইভেসি, আপনার তথ্য সবকিছু ইয়ে হয়ে যায়।

সর্বোচ্চ ব্যবস্থা কী আছে, সেটা নেবেন কিনা- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্ল্যাক লিস্টেট করার জন্য আমরা সুপারিশ করব। তিনি যেন বাংলাদেশের কোথাও কাজ না পায়। কারণ, তিনি বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে চিটিং করছে। তাকে বিশ্বাস করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কেউ জড়িত নয়। আমাদের এখান থেকে লিক হয় নাই। যেসব জায়গায় সাসপেক্টেড তাদের সেবা বন্ধ করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইসরায়েলের বন্দর নগরীতে হামলা

৭ অক্টোবর : নামাজের সময়সূচি

সোমবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

৭ অক্টোবর : ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

প্রোগ্রাম অফিসার পদে চাকরির সুযোগ

নিয়োগ দিচ্ছে আড়ং, পাবেন অনেক সুবিধা

ফরাসি প্রেসিডেন্টের ওপর ক্ষেপলেন নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের জন্য দুঃসংবাদ দিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট

আকাশপথ বন্ধ করে দিল ইরান

নারায়ণগঞ্জে কালীরবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে

১০

মুম্বাইয়ে আবাসিক ভবনে আগুন, নিহত ৭

১১

আসিয়ান নেতাদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত লাওস

১২

জার্মানিতে হবে বাইডেন-জেলেনস্কি বৈঠক

১৩

নারায়ণগঞ্জের কালীরবাজারে আগুন

১৪

কক্সবাজারে ইজিবাইক চালক নিহত

১৫

আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মরণসভা

১৬

জাবিতে সায়েন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত

১৭

বরিশালে অফিস কক্ষ থেকে সার্ভেয়ারের মরদেহ উদ্ধার

১৮

খালে গোসল করতে নেমে কলেজছাত্রের মৃত্যু

১৯

চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান, দেড় লাখ টাকা জরিমানা

২০
X